এগারসিন্দুর দুর্গ উইকিপিডিয়ায় নিবন্ধটি দেখুন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এগারসিন্দুরে অবস্থিত। লাল মাটি, সবুজ গাছগাছালি আর ঐতিহাস নিদর্শনে সমৃদ্ধ এগারসিন্দুর। এগারসিন্দুরে রয়েছে - এগারসিন্দুর দুর্গ, বেবুথ রাজার দিঘি, সাদী মসজিদ, শাহ মাহমুদ মসজিদসহ আরও অনেক কিছু। এটি ঈশা খাঁর শক্ত ঘাঁটি ছিল।

জনশ্রুতি রয়েছে যে, বেবুধ নামীয় এক কোচ উপজাতি প্রধান ষোড়শ শতাব্দীতে এগারসিন্দুর দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ঈশা খাঁ বেবুধ রাজার কাছ থেকে দুর্গটি দখল করেন এবং একে শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেন। ১৫৯৮ সালে মান সিংহ দুর্গটি আক্রমণ করেন। ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে দুর্গটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তবে দুর্গের ভেতরে উঁচু একটি ঢিবি পাওয়া যায়, যেখান থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কামান দাগানো হতো।

নামকরণ

সম্পাদনা

১১টি নদীর মোহনায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে উঁচু শক্ত এঁটেল লাল মাটির এলাকা ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসবাসের স্থান হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় গঞ্জের হাট নামে প্রসিদ্ধ ছিল। গঞ্জের হাট ১১টি নদীর সঙ্গমস্থলে বিধায় তখনকার জ্ঞানী-গুণীজন ঐ ১১টি নদীকে সিন্দু নদ নাম আখ্যায়িত করে স্থানটির নামকরণ করা হয় এগারসিন্দুর। এটি ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে গড়ে উঠেছিল।

কীভাবে যাবেন

সম্পাদনা

ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে জলসিঁড়ি ও অনন্যা পরিবহন করে বা অন্য কোন জেলা থেকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরের থানারঘাটে নামতে হবে। থানারঘাটে বাস থেকে নেমে রিক্সা বা ইজিবাইকে করে এগারসিন্দুর যাওয়া যায়।

ঢাকা থেকে বা অন্য কোন জেলা থেকে আন্তঃনগর রেলে করে এগারোসিন্দুর কিংবা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসে চড়ে মানিকখালী স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে ইজিবাইক বা সিএনজিতে করে কটিয়াদী আসতে হবে। কটিয়াদী থেকে সরাসরি এগারোসিন্দুরে যাওয়া যাবে

১৮৯২ সালের ভূমিকম্পে দুর্গটি ধ্বংস হয়ে গেলেও আজও কিছু কিছু নিদর্শন রয়ে গেছে। দুর্গটি ছিল বিশাল আকারের। দুর্গ এলাকায় এখনও খুঁজে পাওয়া যায় জাফরি ইট, অজানা সুড়ঙ্গ, মৃতপাত্রের ভগ্নাংশ। এটি ছিল ঈশা খাঁর শক্ত ঘাঁটি। এখনও দুর্গের ভেতরে উঁচু একটি টিলার মতো ঢিবি দাঁড়িয়ে আছে, যেখান থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কামান দাগানো হতো।

কোথায় থাকবেন

সম্পাদনা

এখানে খাওয়া ও থাকার জন্য তেমন ভালো ব্যবস্থা নেই। তবে পাকুন্দিয়ায় কিছু সাধারণ মানের খাবার হোটেল ও একটি সরকারি ডাকবাংলো আছে।