ত্রিপুরার একটি শহর
উদয়পুর ভারত রাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরার নবগঠিত গোমতী জেলার অন্তর্গত ছোট্ট নগর। উদয়পুর গোমতী জেলার সদর দফতর। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোটো কিন্তু খরস্রোতা নদী গোমতী। আর এই নদীর নামানুসারেই জেলার নামটিও গোমতী। ভারতের আরেক রাজ্য রাজস্থানেও এক উদয়পুর আছে। বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে রাজস্থানের নাম বেশ আগেই আছে। তবে ত্রিপুরার উদয়পুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও আপনাকে মুগ্ধ করবে! অতি সম্প্রতি ভারতীয় রেল মানচিত্রে উদয়পুর জায়গা করে নিয়েছে। কী নেই এখানে? ত্রিপুরাসুন্দরীর মন্দির, জগন্নাথ দিঘি, মহাদেব দিঘি ইত্যাদি।
কীভাবে যাবেন?
সম্পাদনা- কলকাতা অথবা ঢাকা থেকে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাসে আগরতলা। আগরতলা থেকে সাধারণ/বাতানুকূল বাসে উদয়পুর ৪৫ কিলোমিটার পথ।
- কলকাতা থেকে বিমানে আগরতলা। আগরতলা থেকে রেল, বাস অথবা চার চাকার ভাড়া গাড়িতে উদয়পুর।
বেড়ানো
সম্পাদনা- 1 মাতাবাড়ি মন্দির। মন্দিরটিকে ৫১ টি শক্তি পিঠের মধ্যে এক হিসাবে গণ্য করা হয়। মন্দিরটি ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে দিল্লির মুঘল শাসনেরও পূর্বে ত্রিপুরার মহারাজা ধন্য মানিক্য কর্তৃক নির্মিত।
- 2 নীরমহল প্রাসাদ (জল প্রাসাদ)। ১৯৩০সালে ত্রিপুরার মহারাজা দ্বারা নির্মিত একটি রাজকীয় প্রাসাদ।
- 3 ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির (ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির)। মন্দিরটিকে ৫১ টি শক্তি পিঠের মধ্যে একটি। কিংবদন্তি বলে যে, সতীর ডান পা এখানে পড়ে ছিল। মন্দিরটি মহারাজা ধন্য মানিক্য দেববর্মা দ্বারা ১৫০১ সালে নির্মিত হয়।
কোথায় থাকবেন?
সম্পাদনা- উদয়পুরের 'গুণবতী যাত্রী নিবাস' ত্রিপুরা ট্যুরিজমের একটা ইউনিট। আগরতলা থেকে বুকিং করা যায়।
- এছাড়া উদয়পুরে অনেক প্রাইভেট হোটেল পেয়ে যাবেন।
কী খাবেন?
সম্পাদনা- উদয়পুরে বাঙালির মাছ-ভাত, কিংবা অন্যান্যদের জন্যে চিনা, দক্ষিণ অথবা উত্তর ভারতের সব ধরনের খাবারই পাওয়া যায়।
কী কিনবেন?
সম্পাদনা- গোমতী জেলার হেড কোয়ার্টার উদয়পুর থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার নানা হস্তশিল্পের কাজ কিনতে ভুলবেননা যেন!