ইপোহ

মালয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলের খাড়া চুনাপাথরের পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত ইপোহ একসময় টিনের খনির জন্য বিখ্যাত ছিল। ২০ শতকের শুরুর দিকে পেরাক রাজ্যের রাজধানী হিসেবে ইপোহের স্বর্ণযুগ ছিল। আজকাল মালয়েশিয়ানদের কাছে এটি তার চমৎকার রেস্তোরাঁ, ফুড স্টল এবং বিখ্যাত স্থানীয় খাবারের জন্য বেশি পরিচিত। পুরানো বাসিন্দারা তাদের প্রিয় শহরে ফিরে আসছেন এবং ইপোহকে আবার "মিলিয়নেয়ারদের শহর" হিসেবে গড়ে তুলতে আগ্রহী। ২০২০ সালের হিসাবে ৬,৫৭,৮৫২ জন বাসিন্দা নিয়ে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হিসেবে ইপোহ ক্যামেরন হাইল্যান্ডস এবং প্যাংকর দ্বীপের প্রবেশদ্বারও।

একসময় টিনের খনির কারণে ইপোহ অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। শহরের স্থাপত্য এবং সংস্কৃতি এই সমৃদ্ধির প্রমাণ বহন করে। ইপোহের ঔপনিবেশিক স্থাপত্য, বিশেষ করে চীনা এবং ইউরোপীয় শৈলীর মিশ্রণ, শহরের ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্যের প্রতিফলন।

আজকাল ইপোহ খাদ্য প্রেমীদের জন্য একটি স্বর্গ। শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং ফুড স্টলগুলিতে মালয়, চীনা, ভারতীয় এবং অন্যান্য প্রকারের খাবার পাওয়া যায়। ইপোহের বিখ্যাত খাবারের মধ্যে হাইলাইট করা যায় হক্কা মি, কুয়াতি টিয়ও, এবং বিভিন্ন ধরনের নুডলস।

ইপোহ শুধু খাবারের জন্যই বিখ্যাত নয়, এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থানও। শহরের কাছে ক্যামেরন হাইল্যান্ডস এবং প্যাংকর দ্বীপ দুটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ক্যামেরন হাইল্যান্ডস তার ঠান্ডা আবহাওা এবং চা বাগানের জন্য বিখ্যাত। অন্যদিকে, প্যাংকর দ্বীপ একটি সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং স্বচ্ছ পানির জন্য পরিচিত।

ইপোহের পুরানো বাসিন্দারা এবং নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তারা মিলে শহরটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করছেন। তারা ইপোহকে একটি আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চান, যেখানে ঐতিহ্য এবং আধুনিকতা একসঙ্গে মিশে থাকবে।

ইপোহ, মালয়েশিয়ার একটি ঐতিহাসিক শহর, যার ইতিহাস টিনের খনিজ সম্পদের সাথে গভীরভাবে জড়িত। ১৮৭৬ সালে কিন্টা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ টিন আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই এই শহরটির গুরুত্ব বেড়ে যায়। কিন্টা নদীর কাছে অবস্থিত হওয়ায় এটি ব্যবসায়িক কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং গোপেং ও পাপানের মতো প্রতিষ্ঠিত শহরগুলিকে ছাপিয়ে যায়। স্বপ্ন দেখা খনি শ্রমিকরা, বিশেষ করে চীনা অভিবাসীরা, খনির কাজে এবং সম্পর্কিত শিল্পে জড়িত হয়ে এই শহরকে গড়ে তোলে। ফলে কুয়ালালামপুরের পরে ইপোহ মালয় উপদ্বীপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টিনের চাহিদা কমে যাওয়ায় ইপোহের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খনিগুলি বন্ধ হয়ে যায় এবং শহরের অনেকেই অন্যত্র চলে যায়। তবে ইপোহ ধীরে ধীরে তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করে এবং এখন খাদ্য শিল্পের জন্য পরিচিত।

স্বাধীনতার পর ইপোহে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়, যার ফলে শহরটি আধুনিক উচ্চতাল ভবন নির্মাণ থেকে বেঁচে যায়। ফলে এর ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলি, যেমন রেলওয়ে স্টেশন এবং টাউন হল, আজও অবধি অক্ষত রয়েছে। এছাড়া, স্থানীয় বিমানবন্দরে উচ্চতার নিষেধাজ্ঞা থাকায় শহরটি তার নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখেছে।

আজকের ইপোহ একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে ঔপনিবেশিক যুগের স্থাপনা, চীনা মন্দির, ভারতীয় মন্দির এবং মসজিদ সহ বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির সমন্বয় দেখা যায়। ইপোহের খাদ্যও এর অন্যতম আকর্ষণ। বিশেষ করে, হক্কেন মী সুপ এবং হুয়াত কুয়ায় তেওচিউ মিডলাইন সুপের জন্য এই শহরটি বিখ্যাত।

জলবায়ু

সম্পাদনা
ইপোহ
জলবায়ু চার্ট (ব্যাখ্যা)
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
 
১৩২
 
 
৩৩
২৩
 
 
 
১৫০
 
 
৩৪
২৩
 
 
 
১৭০
 
 
৩৪
২৪
 
 
 
২৬০
 
 
৩৪
২৪
 
 
 
২১০
 
 
৩৩
২৪
 
 
 
১৫০
 
 
৩৩
২৪
 
 
 
১৫০
 
 
৩৩
২৩
 
 
 
১৬০
 
 
৩৩
২৩
 
 
 
২২০
 
 
৩২
২৩
 
 
 
৩০০
 
 
৩২
২৩
 
 
 
২৮০
 
 
৩২
২৩
 
 
 
২৫০
 
 
৩২
২৩
°C-এ গড় উচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রা
Precipitation+Snow totals in mm
Check Ipoh's forecast for tomorrow
Imperial conversion
জাফেমামেজুজুসেডি
 
 
 
৫.২
 
 
৯১
৭৩
 
 
 
৫.৯
 
 
৯৩
৭৩
 
 
 
৬.৭
 
 
৯৩
৭৫
 
 
 
১০
 
 
৯৩
৭৫
 
 
 
৮.৩
 
 
৯১
৭৫
 
 
 
৫.৯
 
 
৯১
৭৫
 
 
 
৫.৯
 
 
৯১
৭৩
 
 
 
৬.৩
 
 
৯১
৭৩
 
 
 
৮.৭
 
 
৯০
৭৩
 
 
 
১২
 
 
৯০
৭৩
 
 
 
১১
 
 
৯০
৭৩
 
 
 
৯.৮
 
 
৯০
৭৩
°F-এ গড় উচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রা
Precipitation+Snow totals in inches

ইপোহের আবহাওয়া উষ্ণ ও আর্দ্র, যা মালয়েশিয়ার অন্যান্য অংশের মতোই। এই শহরটির আবহাওয়া মূলত আন্তঃক্রান্তিকালীন অভিসারী অঞ্চলের প্রভাবে থাকে, যার ফলে এখানে বছরের বেশিরভাগ সময়ই বৃষ্টি হয়।

উষ্ণতা: ইপোহে বছরব্যাপী তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকে। গড় তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। অর্থাৎ, এখানে গ্রীষ্ম ও শীতের তেমন পার্থক্য নেই। সারা বছরই তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকে।

বৃষ্টিপাত: ইপোহে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। প্রতি মাসে গড়ে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় এবং বছরে গড়ে ২৮৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়, গড়ে প্রায় ৩০৭ মিলিমিটার। আর জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়, গড়ে প্রায় ২৫৬ মিলিমিটার।

আর্দ্রতা: উচ্চ তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের কারণে ইপোহের আর্দ্রতাও বেশি। এই আর্দ্রতা কখনো কখনো অস্বস্তিকর হতে পারে, বিশেষ করে বাইরে ঘুরতে বের হলে।

চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ: উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া ইপোহের একটি বৈশিষ্ট্য হলেও, এটি পর্যটকদের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার কারণে বাইরে ঘুরতে বের হওয়া ক্লান্তিকর হতে পারে। তবে, এই আবহাওয়া কিছু সুযোগও সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, সারা বছরই সাঁতার কাটা, সার্ফিং এবং অন্যান্য জলক্রীড়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ থাকে।

পরিধান: ইপোহে ভ্রমণের সময় হালকা, তুলোর কাপড় পরা উচিত। বৃষ্টির জন্য একটি ছাতা বা রেইনকোট রাখা ভালো।

ইপোহ সিটি ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার:

সম্পাদনা

ইপোহে ঘুরতে আসলে সবচেয়ে প্রথম যে জায়গায় যেতে হবে তা হল ইপোহ সিটি ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার। জালান বান্দারে অবস্থিত এই সেন্টারটি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে (সরকারি ছুটির দিনে বন্ধ)। এখানে আপনি ইপোহ এবং তার আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন পর্যটন স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। এছাড়াও, স্থানীয় হস্তশিল্পের জিনিসপত্র কিনতে পারবেন এবং থাকার ব্যবস্থা করতে সাহায্য নিতে পারবেন।

ইপোহ একটি বহুসাংস্কৃতিক শহর হওয়ায় এখানে বিভিন্ন ভাষা প্রচলিত। তবে, মালয়েশিয়ার অন্যান্য অংশের মতোই এখানে মালয় ভাষা সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। মালয় ভাষা এখানকার সরকারি ভাষা এবং দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

তবে, ইপোহের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ চীনা বংশোদ্ভূত। ফলে এখানে ক্যান্টোনিজ ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত। অনেকেই মান্ডারিনও বোঝে এবং ব্যবহার করে। ইপোহের ভারতীয় সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ লোক তামিল ভাষা ব্যবহার করে। কিছু কিছু লোক উর্দু ভাষাও জানে।

যদিও মালয়, ক্যান্টোনিজ এবং তামিল এই শহরের প্রধান ভাষা, তবুও তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারে। বিশেষ করে পর্যটন খাতে জড়িত ব্যক্তিরা সাধারণত ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারেন।

ইপোহে যাওয়ার উপায়

সম্পাদনা

ইপোহে যাওয়ার জন্য নিম্নোক্ত যেকোন মাধ্যম ব্যবহার করা হয়। কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে তা নির্ভর করবে আপনার শুরুর জায়গা, সময় এবং বাজেটের উপর।

বিমানযোগে ইপোহে যাওয়া

সম্পাদনা

ইপোহের সুলতান আজলান শাহ বিমানবন্দর (IPH) শহরের একমাত্র বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দর থেকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের ফ্লাইট চালানো হয়। তবে, অন্যান্য বড় শহরের বিমানবন্দরের তুলনায় এখানে ফ্লাইটের সংখ্যা কম। এখান থেকে আপনি এয়ার এশিয়া এবং স্কুট এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর যেতে পারেন। দেশীয়ভাবে জোহর বাহরুতে যেতেও এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট পাওয়া যায়।

যদি আপনি দূর দূরান্ত থেকে ইপোহে যাত্রা করেন, তাহলে কুয়ালালামপুর বা পেনাং বিমানবন্দরে উড়ান ধরে সেখান থেকে ইপোহে বাস বা ট্রেনে চলে আসা আপনার জন্য আরও সুবিধাজনক হতে পারে। এই দুটি শহরের বিমানবন্দর বড় এবং এখান থেকে বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট পাওয়া যায়।

ট্রেনযোগে ইপোহে যাওয়া

সম্পাদনা
ইপোহ-এর দ্বিতীয় কংক্রিটের ভবন, রেলওয়ে স্টেশন, ১৯৩৫ সালে নির্মিত হয়। স্টেশনের বাইরে একটি উন্মুক্ত প্লাজা রয়েছে, যার মাঝখানে ইপোহের নামাঙ্কিত গাছটি দাঁড়িয়ে আছে।

ইপোহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে উত্তরে প্যাডাং বেসার এবং দক্ষিণে জোহর বাহরু (সিঙ্গাপুর সহ) পর্যন্ত ট্রেন চলে। কুয়ালালামপুরের জন্য দিনে কয়েকটি ট্রেন চলে। কুয়ালালামপুর যাওয়ার জন্য পুরনো ডিজেল ট্রেনে ভাড়া ১২ থেকে ৩০ রিংগিত এবং নতুন ইলেকট্রিক ট্রেনে ২৫ থেকে ৫০ রিংগিত। বটারওয়ার্থের জন্য ইটিএস সার্ভিসের টিকিটের দাম ২২ থেকে ৩৩ রিংগিত।

ট্রেনে যাত্রা করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে ট্রেন স্টেশনটি খুব ভিড় হয়ে থাকে এবং বসার জায়গা নাও মিলতে পারে।

বাসযোগে ইপোহে যাওয়া

সম্পাদনা

ইপোহে যাওয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হল বাস। মালয়েশিয়ার অন্যান্য শহরের সাথে ইপোহের বাস যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো।

প্রধান বাস টার্মিনাল: ইপোহের প্রধান বাস টার্মিনাল হল টার্মিনাল আমানজয়া। শহরের কেন্দ্র থেকে এই টার্মিনালটি প্রায় ১৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। মালয়েশিয়ার অনেক শহর থেকে এই টার্মিনালে বাস আসে এবং যায়।

শহরের কেন্দ্রে যাওয়া: টার্মিনাল আমানজয়ায় থেকে শহরের কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আপনাকে টি৩০এ বা টি৩০বি বাস ধরতে হবে। এই বাসগুলি টার্মিনালের উপরের তলা থেকে ছাড়ে। ভাড়া প্রায় ২ রিংগিত এবং প্রতি ৩০ মিনিটে একটি বাস চলে। বাস ভাড়া দিতে আপনার কাছে টাচ এন গো কার্ড থাকতে হবে। এই কার্ডটি টার্মিনালের নিচতলায় তথ্য কাউন্টার থেকে কিনতে পারবেন। ট্যাক্সি ভাড়া কমপক্ষে ২০ রিংগিত হবে।

জনপ্রিয় রুট: কুয়ালালামপুর (টার্মিনাল বেরসপাতু সেলাতান), সিঙ্গাপুর এবং পেনাং এই তিনটি শহরের সাথে ইপোহের বাস যোগাযোগ সবচেয়ে বেশি। ট্রান্সন্যাশনাল, প্লাসলাইনার, কনসর্টিয়াম এবং শ্রী মাজু এই বাস কোম্পানিগুলি সবচেয়ে ভালো সেবা দেয়। টাইপিং এবং ক্যামেরন হাইল্যান্ডসের জন্য স্থানীয় বাস স্টেশন থেকে বাস পাওয়া যায়।

শহরের মধ্যে অবস্থিত বাস স্টেশন: কিছু বাস কোম্পানি শহরের মধ্যে, বিশেষ করে জালান বেন্দাহারা এলাকায় বাস চালায়। কুয়ালালামপুর, পেনাং, বটারওয়ার্থ বা সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য এই বাসগুলি বেছে নেওয়া ভালো। কারণ এইভাবে আপনাকে শহরের বাইরে যেতে হবে না।

আপনি যদি ইপোহ শহরের কেন্দ্র থেকেই বাসে যাত্রা করতে চান, তাহলে জালান বেন্দাহারা এলাকাটি আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। এই এলাকায় কয়েকটি বাস কোম্পানি তাদের পরিষেবা পরিচালনা করে। যদিও টার্মিনাল আমানজয়ার মতো এখানে গন্তব্যের সংখ্যা অনেক বেশি নয়, তবে কুয়ালালামপুর, পেনাং, বটারওয়ার্থ বা সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য এই বাসগুলিকে বেছে নেওয়া ভালো। কারণ এইভাবে আপনাকে শহরের বাইরে যেতে হবে না।

কয়েকটি জনপ্রিয় বাস কোম্পানি:

  • শ্রী মাজু: জালান বেন্দাহারার ২, ৪ এবং ৬ নম্বরে শ্রী মাজু বাস কোম্পানির অফিস রয়েছে। এই কোম্পানি থেকে আপনি হ্যাট ইয়াই (থাইল্যান্ড) সহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করতে পারবেন। তাদের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কিনতে পারবেন এবং ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।
  • লাপান লাপান (৮৮ ব্র্যান্ড): এই সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বাস কোম্পানির জালান বেন্দাহারা থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত বাস চলে। ভাড়া প্রায় ৫৫ রিংগিত।
  • গ্রাসল্যান্ড এক্সপ্রেস: এই সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বাস কোম্পানিও জালান বেন্দাহারা থেকে বাস পরিষেবা পরিচালনা করে।
  • স্টারশাটল: এই কোম্পানি জালান বেরচাম থেকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস চালায়। একদিকে ভাড়া প্রায় ৪০ রিংগিত।

কারযোগে ইপোহে যাওয়া

সম্পাদনা

ইপোহে যাওয়ার সবচেয়ে স্বাধীন এবং সুবিধাজনক উপায় হল কার। মালয়েশিয়ার উত্তর-দক্ষিণ এক্সপ্রেসওয়ে ইপোহকে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে ভালভাবে সংযুক্ত করেছে। আপনি ইপোহে দুটি এক্সিটের মধ্যে যেকোনো একটি দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন:

  • এক্সিট ১৩৭: সিম্পাং পুলাই: এই এক্সিট দিয়ে ইপোহের উত্তর দিকে প্রবেশ করা যায়। এই রাস্তাটি ইপোহ শহরের কেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে।
  • এক্সিট ১৩৯: ইপোহ সেলাতান: এই এক্সিট দিয়ে ইপোহের দক্ষিণ দিকে প্রবেশ করা যায়। এই রাস্তাটি ইপোহ শহরের কেন্দ্রের কাছাকাছি।

গাড়ি ভাড়া:

যদি আপনার নিজস্ব কার না থাকে, তাহলে ইপোহে পৌঁছে গিয়ে সহজেই কার ভাড়া নিতে পারেন। ইপোহ শহরে এবং বিমানবন্দরে অনেক কার ভাড়া সংস্থা রয়েছে। আপনি অনলাইনে বা সরাসরি তাদের অফিসে গিয়ে গাড়ি বুক করতে পারেন।

গাড়ি চালানোর বিষয়গুলো:

  • আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স: মালয়েশিয়ায় গাড়ি চালাতে হলে আপনার কাছে একটি বৈধ আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
  • যান চলাচলের নিয়ম: মালয়েশিয়ার যান চলাচলের নিয়ম মেনে চলুন। এখানে ডান দিকে গাড়ি চালানো হয়।
  • পার্কিং: ইপোহ শহরে পার্কিংয়ের জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। তবে শহরের কেন্দ্রে পার্কিং খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে।
  • টোল: মালয়েশিয়ার এক্সপ্রেসওয়েগুলিতে টোল দিতে হয়। আপনার কাছে একটি টোল কার্ড থাকলে ভালো হয়।

ইপোহে যাতায়াত

সম্পাদনা

ইপোহ শহরকে কিন্তা নদী দুই ভাগে ভাগ করেছে: পশ্চিমে ওল্ড টাউন এবং পূর্বে নিউ টাউন। ওল্ড টাউন ঘুরে দেখার জন্য পায়ে হেঁটে যাওয়া সবচেয়ে ভালো, কিন্তু নিউ টাউন ঘুরতে হলে গাড়ি বা অন্য কোনো যানবাহন ব্যবহার করতে হবে। শহরের বাইরের অঞ্চলে যেতে হলে ট্যাক্সি বা পাবলিক বাস ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি আপনি দূরের কোনো জায়গায় যেতে চান, তাহলে নিজের গাড়ি থাকলে ভালো হয়।

আপনার জানা দরকার যে, ১৯৮০-এর দশকে ইপোহের অনেক রাস্তার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে অনেক স্থানীয় এখনো পুরনো নামেই সেই রাস্তাগুলিকে চিনে। তাই আপনার জন্য একটু বিভ্রান্তিকর হতে পারে। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, অনলাইনে বা ট্যুরিস্ট সেন্টার থেকে আপনি পুরনো ও নতুন রাস্তার নামের তালিকা পেয়ে যাবেন। উদাহরণস্বরূপ, জালান বিজিহ তিমাহকে আগে ট্রিচার স্ট্রিট বলা হতো।

শহরের কেন্দ্রের রাস্তাগুলো বেশিরভাগই একমুখী। আপনি বইয়ের দোকান, ট্যুরিস্ট সেন্টার বা অনলাইনে রাস্তার মানচিত্র পেয়ে যাবেন। কুয়ালালামপুরের মতো অন্যান্য শহরের মতো ইপোহে যানজট তেমন একটা হয় না, তবে রাশ আওয়ারে কিছুটা যানজট দেখা যেতে পারে। পার্কিংয়ের জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে, তবে জায়গা খুঁজে পাওয়ার জন্য একটু ধৈর্য ধরতে হতে পারে। আপনি চাইলে গাড়িও ভাড়া নিতে পারেন।

বাসে চলাচল

সম্পাদনা

ইপোহ শহর ও তার আশপাশের এলাকায় স্থানীয় বাস চলাচল করে। এই বাসগুলোর একটি কেন্দ্রীয় হাব হল ইপোহ বাস টার্মিনাল, মেদান কিড্ড। এই টার্মিনালটি ওল্ড টাউনের জালান তুন আব্দুল রাজাক রোডে অবস্থিত। রেলওয়ে স্টেশন থেকে দক্ষিণ দিকে এগিয়ে গিয়ে পোস্ট অফিস পার হলেই ডান দিকে প্রথম বড় জংশনে এই বাস স্টেশনটি পাবেন।

এই বাস স্টেশনটিকে জালান বেন্দাহারার সাথে বিভ্রান্ত করবেন না। জালান বেন্দাহারা নিউ টাউনে অবস্থিত এবং সেখান থেকে কিছু বাস কোম্পানি দীর্ঘ দূরত্বের বাস চালায়। ইপোহ শহরের বাস সম্পর্কে আরও জানতে আপনি [www.peraktransit.com ওয়েবসাইটটি] দেখতে পারেন।

স্থানীয় বাস সম্পর্কে তেমন ভালোভাবে প্রকাশিত তথ্য পাওয়া যায় না, তবে বাস স্টেশনে একটি তথ্য কাউন্টার রয়েছে যেখান থেকে আপনি সহায়তা পেতে পারেন। ক্যামেরন হাইল্যান্ডস এবং টাইপিং যাওয়ার জন্য এই বাস স্টেশনটি খুবই উপযোগী। স্থানীয় বাস নম্বর ৯৪ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। এই বাসটি বাস স্টেশন থেকে শুরু করে ওল্ড টাউন এবং নিউ টাউন হয়ে স্যাম পোহ টং গুহা মন্দির পর্যন্ত যায়। নিউ টাউনে এই বাসটি তিনটি বাস স্টপে থাকে: তিঙ্গাত পাশার, জালান রাজা মুসা আজিজ এবং জালান থিয়েটারের জংশন এবং গ্র্যান্ড পার্ক হোটেল ও শ্রী মাজু বাস টার্মিনালের কাছে জালান সিএম ইউসুফ।

পায়ে হেঁটে

সম্পাদনা

বেশিরভাগ রাস্তাতেই পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য ফুটপাথ এবং চিহ্নিত ক্রসিং রয়েছে। তাই ওল্ড টাউনের পুরনো রাস্তাগুলোতে ঘুরতে ঘুরতে অনেক মজা পাবেন।

সাইকেল চালিয়ে ঘুরে বেড়ানো

সম্পাদনা

ইপোহে সাইকেল চালানোর জন্য কোনো কঠোর নিয়ম নেই, তবে সবসময় সড়কের নিয়ম মেনে চলতে হবে। সাইকেল চালিয়ে ফুটপাতে চলাচল নিষিদ্ধ হলেও অনেকেই তা করে থাকে। হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক নয় এবং অনেকেই হেলমেট পরে না।

ট্যাক্সি

সম্পাদনা

ইপোহে ট্যাক্সির ভাড়া আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। আপনি চাইলে পেঙ্গকেলান হুলু (থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে) পর্যন্ত ট্যাক্সি নিতে পারবেন। একদিকে ভাড়া প্রায় ১৭০ রিংগিত এবং দুইদিকে ভাড়া প্রায় ৩০০ রিংগিত হতে পারে। শহরের মধ্যে যাতায়াতের জন্য প্রায় ৫ থেকে ১০ রিংগিত খরচ হবে। ট্যাক্সির চেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে গ্র্যাবকার্। গ্র্যাবকার্ হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উবারের মতো একটি রাইড শেয়ারিং সার্ভিস। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি আগেই ভাড়া দেখে নিতে পারবেন এবং ভাড়া নিয়ে আলোচনা করতে হবে না।

গ্র্যাবকার্ ব্যবহারের সুবিধা:

  • আগে থেকে ভাড়া জানা: গ্র্যাবকার্ অ্যাপে আপনি আপনার গন্তব্যস্থল নির্ধারণ করার পরে ভাড়া দেখতে পাবেন।
  • সহজ বুকিং: অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই গাড়ি বুক করতে পারবেন।
  • নিরাপদ যাত্রা: গ্র্যাবকার্ের ড্রাইভাররা সাধারণত নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত হয়।

ট্যাক্সি ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন:

  • ভাড়া আগে থেকে নির্ধারণ করুন: যাত্রা শুরুর আগে ভাড়া নিয়ে ড্রাইভারের সাথে আলোচনা করে নিন।
  • মিটার চালু রাখুন: নিশ্চিত হয়ে নিন যে ড্রাইভার মিটার চালু রেখেছেন।
  • সঠিক গন্তব্যস্থল বলুন: ড্রাইভারকে সঠিক গন্তব্যস্থল বলুন যাতে কোনো ভুল না হয়।
  • নিরাপদ যাত্রা করুন: যাত্রাকালীন নিজের ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের প্রতি সতর্ক থাকুন।

ইপোহ ঘুরে দেখা

সম্পাদনা

ওল্ড টাউন

সম্পাদনা
ওল্ড টাউনের এইচএসবিসি ভবন

ইপোহ ওল্ড টাউনের মূল অংশ কিন্তা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এবং রেললাইনের পাশেই। প্রতি শনিবার সকাল ৮ টায় রেলওয়ে স্টেশন থেকে ইপোহ হেরিটেজ ট্রেইলের দুই থেকে তিন ঘন্টার গাইডেড ট্যুর শুরু হয় (২০১৫ সালের হিসাবে প্রতি ব্যক্তির জন্য ৩০ রিংগিত)। জালান সুলতান ইউসুফে পুনর্নবীকরণ করা কং হেং স্কোয়ারে ছোট ছোট ক্যাফে এবং দোকান রয়েছে।

ঐতিহাসিক ভবন

সম্পাদনা

১. বির্চ মেমোরিয়াল ক্লক টাওয়ার, জালান দাতো সেগর: এটি পেরাকের প্রথম ব্রিটিশ রেসিডেন্ট মন্ত্রীর স্মরণে নির্মিত। এই মন্ত্রীকে স্থানীয় এক মালয় প্রধান হত্যা করেছিলেন। টাওয়ারের উত্তর দিকে যে রাস্তাটি যায়, সেটি হত্যাকারীর নামেই নামকরণ করা হয়েছে। টাওয়ারে সভ্যতার অগ্রগতির প্রতিনিধিত্বকারী ফ্রিজ রয়েছে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিত্বদের চিত্রিত করা হয়েছে, তবে স্থানীয় সংবেদনশীলতার কারণে নবী মুহাম্মদকে চিত্রিত করা হয়নি।

২. ইপোহ রেলওয়ে স্টেশন, জালান সুলতান ইস্কান্দার: মালয়ান নেটওয়ার্কের তিনটি দুর্দান্ত ব্রিটিশ নির্মিত স্টেশনের মধ্যে একটি। "ইপোহের তাজমহল" নামে পরিচিত এই স্টেশনটি ইটিএস ট্রেনের মাধ্যমে কেএলের ঔপনিবেশিক সৌন্দর্য, কুয়ালালামপুর রেলওয়ে স্টেশন (কেএল সেন্ট্রালের এক স্টপ আগে) এর সাথে সংযুক্ত। ইপোহ স্টেশন স্কোয়ারের ফোয়ারা রাত ৮টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চালু থাকে। ইপোহ স্টেশন স্কোয়ারের সেনোটাফ বিভিন্ন যুদ্ধে মৃত্যুবরণকারীদের স্মরণে নির্মিত।

৩. ইপোহ টাউন হল এবং ল কার্টস: রেলওয়ে স্টেশনের বিপরীতে নবশাস্ত্রীয় শৈলীতে নির্মিত এই দুটি ভবন।

৪. মুজিউম দারুল রিদজুয়ান, জালান পাংলিমা বুকিত গান্তাং: একটি প্রাক্তন টিন খনি মালিকের সুন্দর বাড়িতে পেরাকের একটি আকর্ষণীয় ঐতিহাসিক জাদুঘর।

সেন্ট মাইকেল ইনস্টিটিউশন

৫. পাডাং ইপোহ (ইপোহ গ্রীন): জালান এস.পি. সিনেভাগাসামের কাছে অবস্থিত এই সুন্দর লনটি ব্রিটিশ শাসনামলে ইপোহ ক্লাবের জন্য ক্রিকেট মাঠ হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। সেই সময় এই ক্লাবটি শুধুমাত্র গোরাদের জন্যই ছিল। আজকাল এটি রয়্যাল ইপোহ ক্লাবের (ইপোহ ক্লাব থেকে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে যখন পেরাকের সুলতানকে ক্লাবের প্রথম অ-গোরা সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল) প্রধান ক্রিকেট মাঠ হিসাবে কাজ করে এবং ক্রিকেট না হলে এটি ক্লাবের ফুটবল (সকার) মাঠ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। আশেপাশের ঐতিহাসিক ভবনগুলির মধ্যে মক-টুডর স্টাইলের রয়্যাল ইপোহ ক্লাব, এফএমএস বার, এইচএসবিসি বিল্ডিং এবং দুর্দান্ত সেন্ট মাইকেলস ইনস্টিটিউশন সেকেন্ডারি স্কুল অন্তর্ভুক্ত।

৬. হান চিন পেট সু (ইপোহ ওয়ার্ল্ড), ৩ জালান বিজিহ তিমাহ: এটি একটি সাবধানে পুনঃস্থাপিত হাক্কা খনি শ্রমিকদের ক্লাব যা বাড়িতে থেকে দূরে থাকা টিন খনি শ্রমিকদের কার্যকলাপ নথিভুক্ত করে। অপিয়াম সেবন, জুয়া এবং বেশ্যাবৃত্তি তাদের কিছু প্রিয় অভ্যাস ছিল এবং সাবধানে সংরক্ষিত প্রাচীন জিনিসপত্র ব্যবহার করে এগুলি সবগুলিকে তাদের সমস্ত গৌরবের সাথে দেখানো হয়েছে। পেরাকের টিন খনির ইতিহাসও পুরানো খনিজাত দ্রব্য এবং বড় টোকয় (বস)দের ছবি দিয়ে প্রদর্শিত হয়। মুক্ত, তবে দান স্বাগত। (আগস্ট ২০১৫ আপডেট করা হয়েছে) ৭. কিন্তা নদীর তীর ঘুরে বেড়ানো: রাতে এখানে আসুন, কারণ গাছগুলিকে সুন্দরভাবে আলোকিত করা হয়, এটি একটি রোমান্টিক নদীর পাশের হাঁটাচলা করার জায়গা। ইপোহের টিন খনির শিল্পের উত্থান এবং পতন চিত্রিত করে একটি ছোট কুটির রয়েছে। আরও জোরালো ব্যায়ামের জন্য আপনি সাইকেলও ভাড়া নিতে পারেন। (জুলাই ২০১৫ আপডেট করা হয়েছে)

৮. লিটল ইন্ডিয়া: বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় দোকান, সহিত পোশাক এবং খাবার। এবং আপনি এখানে ভারতীয় রেস্টুরেন্ট এবং ক্যাফেও খুঁজে পেতে পারেন। প্রতি বছর স্থানীয়রা এখানে দীপাবলি কার্নিভাল করে। (নভেম্বর ২০২৩ আপডেট করা হয়েছে)

ইপোহের রঙিন রাস্তার দেয়াল: স্ট্রিট আর্টের জগৎ

সম্পাদনা

ইপোহ শহর তার ঐতিহাসিক ভবন এবং সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি রঙিন স্ট্রিট আর্টের জন্যও বিখ্যাত। জর্জ টাউনকে রঙিন করে তোলা লিথুয়ানিয়ান শিল্পী এরনেস্ট জাচারেভিকের হাত ধরেই ইপোহের রাস্তার দেয়ালগুলোও রঙিন হয়ে উঠেছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত শহরে তার তৈরি সাতটি মুরাল ছিল, যার মধ্যে ছয়টি এখনও আছে।

জালান বিজিহ তিমাহ (টিন অর রোড) এর দেয়ালে তিনি ইপোহের একসময়ের গুরুত্বপূর্ণ টিন খনির শিল্পকে তুলে ধরেছেন। ইপোহ প্যাডাং ওল্ড টাউন হোয়াইট কফি শাখা থেকে একটি মানচিত্র নিয়ে এই মুরালগুলো খুঁজে বের করতে পারেন। শহরের পুরনো রাস্তাগুলো ঘুরে বেড়াতে বেড়াতেও আপনি অনেক মুরাল দেখতে পাবেন।

এছাড়াও, শহরের পুরনো ভবনগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগে স্থানীয় একজন শিল্প শিক্ষক এরিক লাই অনেকগুলি মুরাল আঁকিয়েছেন। জালান মসজিদ এবং জালান সুলতান ইস্কান্দারের মধ্যবর্তী একটি লেনে এই মুরালগুলো দেখতে পাবেন। এখানে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সংস্কৃতির ছবি ফুটে উঠেছে, যেমন চাইনিজ লায়ন ডান্স, কুদা কেপাং মালয় নাচ, ভারতীয় নৃত্য এবং শিশুদের লুকোচুরি খেলার দৃশ্য।

কিছু উল্লেখযোগ্য মুরাল:

সম্পাদনা

৯. আঙ্কেল ড্রিঙ্কিং কফি (জালান বান্দার) ১০. পেপার প্লেন (জালান তুন সামবানথান) ১১. ফাইভ প্যাকেটস অফ কপি-ও (জালান তুন সামবানথান) ১২. হামিংবার্ড (জালান পাংলিমা) ১৩. ইভোলুশন (জালান বিজিহ তিমাহ) ১৪. ট্রিশাও গার্বেজ কালেক্টর (কনকিউবিন লেন ৩) ১৫. গার্ল অ্যান্ড স্প্যারোজ (জালান বান্দার তিমাহ) ১৬. জালান বন্দর তিমাহ

১৭. মুরাল আর্টস লেন: জালান মসজিদ, তামান জুবিলির মুরাল আর্টস লেনে এই সব মুরাল দেখতে পাবেন। এই লেনটি ইপোহ নিউ টাউনে অবস্থিত যেখানে সব মুরাল পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাড়ির পেছনের দেয়ালে আঁকা হয়েছে। স্থানীয় শিল্প শিক্ষক এরিক লাই এই ভবনগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগে এই মুরালগুলো আঁকতে শুরু করেছিলেন। এগুলো মালয়েশিয়ার বিভিন্ন দিকের প্রতিফলন ঘটাচ্ছে, যেমন চাইনিজ লায়ন ডান্স, কুদা কেপাং মালয় নাচ, ঐতিহ্যগত ভারতীয় নৃত্য, শিশুদের লুকোচুরি খেলার দৃশ্য এবং সুন্দর জলপ্রপাতের দৃশ্য।

ইপোহের রাস্তার দেয়ালগুলো এখন শুধু দেয়াল নয়, এগুলো শিল্পের ক্যানভাস। এই রঙিন মুরালগুলো শহরকে একটি অনন্য চেহারা দিয়েছে এবং পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত করেছে।

ইপোহর আশপাশ

সম্পাদনা
স্যাম পোহ টং চাইনিজ বৌদ্ধ মন্দির - শুধুমাত্র একটি গুহার মাধ্যমেই অ্যাক্সেসযোগ্য, মন্দির এবং তার সাথে থাকা কচ্ছপ পুকুরটি একটি নির্মল এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে

হাজার হাজার মাইল দূরে নিজেদের মাতৃভূমি থেকে দূরে থাকলেও, চীনা এবং ভারতীয় সম্প্রদায়ের জন্য ধর্ম ছিল তাদের আধ্যাত্মিক আশ্রয়। ইপোহের উত্তর এবং দক্ষিণে কারস্ট চুনাপাথরের পাহাড়গুলোতে গুহা মন্দিরে ভরপুর। যদিও সবচেয়ে ধনী এবং বিখ্যাত মন্দিরগুলোই যথাযথভাবে পরিচরিত হয় এবং ভুলে যায় না।

এই গুহা মন্দিরগুলো শুধুমাত্র ধর্মীয় উপাসনার জায়গা নয়, এগুলো ছিল দূরে থাকা প্রবাসীদের জন্য একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এই মন্দিরগুলোতে তারা তাদের ঐতিহ্য, রীতিনীতি এবং ধর্মীয় অনুশীলন বজায় রাখতে পারত। মন্দিরগুলোতে নিয়মিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উৎসব এবং সমাজসেবা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হতো। এগুলো ছিল প্রবাসীদের জন্য একটি একত্রিত হওয়ার জায়গা, যেখানে তারা তাদের মাতৃভূমির স্মৃতিচারণ করতে পারত এবং নতুন পরিবেশে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারত।

গুহা মন্দিরগুলোর স্থাপত্য শৈলী এবং অভ্যন্তরীণ সজ্জা প্রায়শই তাদের মূল দেশের মন্দিরগুলোর অনুরূপ হতো। এতে করে প্রবাসীরা নিজেদের ঘরে থাকার মতো অনুভব করত। মন্দিরগুলোতে বিভিন্ন দেবতার মূর্তি, ধর্মীয় চিত্র এবং শিল্পকর্ম থাকত। এই মূর্তি এবং শিল্পকর্মগুলি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে কাজ করত।

আজকাল, এই গুহা মন্দিরগুলো ইপোহের একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এই মন্দিরগুলো দেখতে আসেন এবং এখানকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপভোগ করেন। এই মন্দিরগুলো শুধুমাত্র ধর্মীয় স্থান নয়, এগুলো ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং স্থাপত্যের একটি জীবন্ত উদাহরণ।

১৮. পেরাক টং (পেরাক গুহা), গুনুং তাসেক:এই গুহায় ৪০টিরও বেশি বুদ্ধ প্রতিমা এবং অনেক মুরাল রয়েছে। গুহার ভিতরে একটি খাড়া, লম্বা সিঁড়ি রয়েছে যা পাহাড়ের শীর্ষ পর্যন্ত উঠে যায়, যেখানে আপনি ইপোহ এবং এর আশেপাশের একটি সুন্দর এবং বিস্তারিত দৃশ্য দেখতে পাবেন। পেরাক টং-এর বুদ্ধের মূর্তি মালয়েশিয়ার সবচেয়ে লম্বা এবং বৃহত্তম। পেরাক টং ১৯২৬ সালে চীন থেকে আসা একজন বৌদ্ধ পুরোহিত দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। খোলা সময়: সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা

১৯. স্যাম পোহ টং (ত্রিশক্তির গুহা): স্যাম পোহ টং আসলে গুনুং রাপাতের তিনটি চীনা মন্দিরের একটি ক্লাস্টার। প্রথম মন্দির, লিং সেন টং শত শত জস স্টিকের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। এর প্রতিবেশী, নাম থিয়ান টং, এর শত শত সিঁড়ি রয়েছে যা পাহাড়ের মধ্য দিয়ে ঠিক অন্য পাশে উঠে যায়, দুর্দান্ত দৃশ্য প্রদান করে। স্যাম পোহ টং নিজেই তৃতীয়টি, ছোট কফি শপের ঠিক পরে, যেখানে আপনি নাম থিয়ান টং-এর সব সিঁড়ি বেড়ে ওঠার পরে আরাম করতে পারেন। এই মন্দিরের প্রবেশদ্বারের পাশে একটি আকর্ষণীয় সজ্জিত বোনসাই বাগান এবং মাছের পুকুর রয়েছে; ভিতরে, একটি সুড়ঙ্গ মন্দিরের আশ্রয়স্থল এবং এর কচ্ছপ পুকুর পর্যন্ত পাথরের মধ্য দিয়ে ঠিক যায়; আপনি কচ্ছপকে খাওয়ানোর জন্য ৩ রিংগিতে টমেটো কিনতে পারেন। মন্দিরের দিকে যাওয়ার পথে আমড়া বিক্রি করার স্টল রয়েছে। স্যাম পোহ টং-এ একটি শাক-সবজি রেস্টুরেন্টও রয়েছে। পূর্ববর্তী মেদান গোপেং বাস টার্মিনাল পাশ করে স্থানীয় বাস ৯৪ এই মন্দিরগুলোর পাশেই চলে যায়। শহর থেকে ট্যাক্সি নিয়ে ১০ রিংগিত হলেই যথেষ্ট হবে এবং আঞ্চলিক বাসগুলোও আপনাকে শহরের কেন্দ্র থেকে দ্রুত সেখানে নিয়ে যাবে। খোলা সময়: সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২:১৫টা

২০. কেক লোক টং (পরম আনন্দের গুহা), পেসিয়ারান সেপাকাত ৩, তামান এন্দাহ জয়া: স্যাম পোহ টংয়ের মতো একই চুনাপাথর পাহাড়ের অন্য পাশে ভালো দৃশ্য সহ শান্ত চীনা গুহা মন্দির। অন্য গুহা মন্দিরগুলোর তুলনায় নতুন এবং একটু ধনী হওয়ায় জায়গাটি অনেক বেশি বাতাসধারা এবং পরিষ্কার মনে হয়। এখানে বানর দেখা যায়। গুনুং রাপাত আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবেশযোগ্য। ইপোহ শহর থেকে ট্যাক্সি নিয়ে ১০ রিংগিত খরচ হবে।

২১. শ্রী মহা মারিয়াম্মন মন্দির, জালান সুঙ্গাই পারি, বুন্তং (নদীর উপর সেতুর ঠিক আগে): এটি একটি পুরনো তামিল মন্দির। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় প্রকৃতির নয়, বক্তৃতার জন্যও একটি জায়গা এবং রবিবারে শিশুদের তামিল ভাষায় শ্লোকের পরিচয় দেওয়া হয়।

ইপোহের বাইরের শান্ত শহর

সম্পাদনা

ইপোহের বাইরে অবস্থিত বাতু গাজা একসময় ফেডারেটেড মালয় স্টেটসের কিন্তা ভ্যালির ইউরোপীয় কেন্দ্র হওয়ার জন্য পরিকল্পিত ছিল। কিন্তু ইপোহের দ্রুত উন্নতি এবং সমৃদ্ধির কারণে বাতু গাজা সেই স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।

টিন খনির উত্থান-পতনের প্রভাবে ইপোহের আশপাশের এলাকাগুলোও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি অনেক এলাকা ইপোহের মধ্যেই শোষিত হয়ে যাওয়ার উপক্রম।

বাতু গাজার ইতিহাস: বাতু গাজা একসময় একটি সমৃদ্ধ শহর ছিল। টিন খনির কারণে এখানে অনেক ইউরোপীয় বসতি স্থাপিত হয়। তাদের জন্য সব ধরনের সুবিধা যেমন স্কুল, চার্চ, ক্লাব ইত্যাদি তৈরি করা হয়। কিন্তু যখন ইপোহে টিন খনির কাজ আরো বেশি পরিমাণে শুরু হয়, তখন বাতু গাজার গুরুত্ব কমতে শুরু করে।

টিন খনির প্রভাব: টিন খনির উত্থান এবং পতন বাতু গাজার ইতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। টিন খনির স্বর্ণযুগে বাতু গাজা একটি সমৃদ্ধ শহর ছিল। কিন্তু যখন টিনের দাম কমতে শুরু করে এবং খনিগুলো বন্ধ হয়ে যায়, তখন শহরটির অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। অনেক মানুষ কাজ হারায় এবং শহরটির উন্নতি থেমে যায়।

বর্তমান অবস্থা: আজকের দিনে বাতু গাজা একটি শান্ত এবং প্রশান্ত শহর। এখানে এখনও টিন খনির কিছু চিহ্ন দেখা যায়। বাতু গাজা তার ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এখানে অনেক পুরানো ভবন, চার্চ এবং স্কুল রয়েছে।

পর্যটন: বাতু গাজা পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় জায়গা। এখানে এসে আপনি ঐতিহাসিক ভবনগুলো ঘুরে দেখতে পারেন, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন এবং শান্ত পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে পারেন।

বাতু গাজায় কেলির ক্যাসেল

২২. কেলি'স ক্যাসল : ইপোহ শহর থেকে প্রায় আধা ঘন্টার দূরে বাতু গাজায় অবস্থিত এই পরিত্যক্ত বাড়িটি একজন উৎকণ্টাপ্রবণ স্কটিশ চাষীর। জনশ্রুতি আছে যে, এই বাড়িতে ভূত আছে এবং এখানে গোপন চেম্বারে যাওয়ার গোপন পথ রয়েছে। একটি ট্যাক্সি নিয়ে আপনি প্রায় ৫০-৬০ রিংগিতে এখানে যেতে পারবেন এবং তারা সাধারণত এক ঘন্টা অপেক্ষা করবে (যা ঘুরে দেখার জন্য যথেষ্ট সময়)। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫ রিংগিত এবং ৩ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য ৩ রিংগিত।

২৩. তানজং তুয়ালাং টিন ড্রেজ জাহাজ, ৯তম কিলোমিটার, জালান তানজং তুয়ালাং, বাতু গাজা: এটি শেষ টিন ড্রেজ যা তার পুরানো কার্যক্ষেত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি। এটি কীভাবে শিল্প পর্যায়ে নদী থেকে সহজেই অ্যালুভিয়াল জমা থেকে টিন আহরণ করা হতো তার একটি উদাহরণ। এখানে একটি ছোট জাদুঘর রয়েছে এবং ড্রেজের বাইরে এবং ভিতরে দর্শন করার জন্য বিভিন্ন দামে ট্যুর পাওয়া যায়।

২৪. পাপান : এটি একটি শতাব্দী প্রাচীন আধা পরিত্যক্ত খনি শহর যা টিনের সমৃদ্ধ জমা উপর নির্মিত হয়েছিল। ১৯৮০-এর দশকে ধাতব অরে মূল্য অর্ধেক হয়ে যাওয়ার আগে এই খনিটি খনন করা হওয়ার কথা ছিল। যুদ্ধের সময়, অপ্রতিরোধ্য জঙ্গলের ভূখণ্ডের আগে শেষ প্রতিরক্ষা হিসাবে প্রতিরোধী যোদ্ধারা নিজেদেরকে এখানে অবস্থান করিয়েছিল এবং এমনকি একটি মূল্যবান বিনামূল্যে ক্লিনিক এবং ডিসপেনসারিও স্থাপন করেছিল। আজকাল প্রকৃতি ধীরে ধীরে নিজের গতি ধরেছে, ছাদ ভেঙে পড়েছে এবং বাড়িগুলো আগাছায় আচ্ছাদিত হয়ে গেছে, যদিও অদ্ভুত বয়স্ক বাসিন্দারা তাদের পরিচিত পরিবেশে সন্তুষ্ট বলে মনে হয়।

ইপোহে কী করবেন?

সম্পাদনা
গুয়া টেম্পুরং-এ চুনাপাথরের গুহা

স্পোর্টস

সম্পাদনা

ইপোহ শুধু ঐতিহাসিক ভবন এবং সুস্বাদু খাবারের জন্যই বিখ্যাত নয়, এখানে আপনি প্রচুর বিনোদনমূলক কার্যকলাপও করতে পারবেন। বিশেষ করে, প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য ইপোহে অনেক কিছুই আছে। আসুন জেনে নিই ইপোহে কী কী করা যায়।

গুয়া টেমপুরং গুহা অন্বেষণ

মালয়েশিয়ার উপদ্বীপের সবচেয়ে বড় চুনাপাথরের গুহা হল গুয়া টেমপুরং। নর্থ সাউথ হাইওয়ের গোপেং এক্সিটের কাছে অবস্থিত এই গুহায় আপনি চুনাপাথরের গুহার ভেতরের বিস্তারিত অংশ অন্বেষণ করার সুযোগ পাবেন। আপনি গুহার একটি ছোট ট্যুর করতে পারেন অথবা পথ থেকে সরে গিয়ে গুহার নদীতে হেঁটে গুহার অনেক দূরে অবস্থিত অংশে যেতে পারেন।

ভিজে অনুসন্ধানে আপনাকে ঠান্ডা ভূগর্ভস্থ জলে ডুবতে হবে, ছিদ্রের মধ্য দিয়ে চাপড়ে যেতে হবে এবং মসৃণ পাথরের উপর স্লাইড করতে হবে। তবে এই অনুসন্ধান শুরু করার জন্য কমপক্ষে ৮ জনের একটি দল থাকতে হবে।

কাম্পার নদীতে হোয়াইট ওয়াটার র্যাফটিং

কাম্পার নদীতে আপনি প্রকৃতির মাঝে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা পাবেন। এই নদীতে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ র্যাফটিং ট্রিপ করা যায়। জলের উচ্চতার উপর নির্ভর করে এই ট্রিপ সাড়ে এক থেকে দুই ঘন্টা সময় নেয়। এই নদীর তরঙ্গ শুরুআতকারীদের জন্য উপযুক্ত এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একটি ভালো উপায়। সাধারণত গাইডরা নির্দিষ্ট স্থান থেকে নদী পর্যন্ত পরিবহন ব্যবস্থা করে এবং নিরাপত্তা, প্যাডলিং এবং র্যাফটিং কৌশল সম্পর্কেও তাদের ব্রিফিং দেয়। রাদাক অ্যাডভেঞ্চার এবং নোমাড অ্যাডভেঞ্চার এই এলাকার দুটি এমন কোম্পানি।

রয়্যাল ইপোহ ক্লাবে ক্রিকেট

১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রয়্যাল ইপোহ ক্লাবের নিজস্ব ফুটবল এবং ক্রিকেট মাঠ রয়েছে। আপনি যদি ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করেন, তাহলে এই ক্লাবটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা হতে পারে।

ইপোহের আশেপাশে হাইকিং

সম্পাদনা

ইপোহ শুধুমাত্র শহরের আলোর জন্যই বিখ্যাত নয়, এর আশেপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভান্ডার রয়েছে। হাইকিং এর শখীদের জন্য ইপোহে অনেক সুন্দর সুন্দর পাহাড় ও জঙ্গল রয়েছে। আসুন জেনে নিই ইপোহের আশেপাশে কোন কোন জায়গায় হাইকিং করা যায়।

বুকিত ক্লেডাং: চুনাপাথরের পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য

ইপোহের পশ্চিমে মেংলেম্বুতে অবস্থিত বুকিত ক্লেডাং পাহাড় হাইকিং এর জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা। এই পাহাড়ের চূড়া থেকে ইপোহের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা চুনাপাথরের পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। পাহাড়ে উঠার জন্য অনেকগুলো পথ রয়েছে। আপনি যদি নিশ্চিত না হন যে কোন পথে যেতে হবে, তাহলে স্থানীয়দের কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন। তারা প্রায়ই সকালে এবং সন্ধ্যায় এই পাহাড়ে হাঁটাচলা করতে আসেন।

যদি আপনার কাছে জিপিএস থাকে, তাহলে আপনি 101° 1.813'E/4° 34.577'N বা 101° 1.638'E/ 4° 34.312'N এই কোঅর্ডিনেটগুলো অনুসরণ করে হাইকিং শুরু করতে পারেন। বেশিরভাগ পথই খোলা এবং গরম থাকে তাই একটি টুপি এবং পানি নিয়ে যাওয়া ভালো। তবে ট্রেইল ৪.৯ এর বেশিরভাগ অংশ ছায়াময় জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যায়। যদি আপনি ভাগ্যবান হন, তাহলে আপনি এখানে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ এবং প্রাণী দেখতে পাবেন যেমন লম্বা লেজের বানর, শূকরের লেজের বানর, পাতা খাওয়া বানর এবং সিয়ামাং।

উলু গেরোহ: অরণ্যের মধ্যে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা

ইপোহ থেকে প্রায় এক ঘন্টা দূরে গোপেংয়ের পূর্ব দিকে অবস্থিত উলু গেরোহ হল একটি ওরাং আসলি গ্রাম। এই গ্রামটি রাবার, ডুরিয়ান এবং তেলের তাল গাছের বাগানের মধ্য দিয়ে একটি খসড়া রাস্তা (৪x৪ গাড়ি প্রয়োজন) ধরে যাওয়ার পরে অরণ্যের আঁচলে অবস্থিত।

ওরাং আসলি সম্প্রদায়ের গাইডরা পর্যটকদের রাফলেসিয়া ফুল (বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুল) এবং রাজা ব্রুকের পাখি দেখাতে নিয়ে যায়। এছাড়াও আপনি অন্যান্য জঙ্গলের পোকামাকড়, উদ্ভিদ ইত্যাদি দেখতে পাবেন। এখানে একটি ছোট কিন্তু সুন্দর জলপ্রপাতও রয়েছে। ভিজিটর লগ বুকে আপনার আইডি কার্ড বা পাসপোর্ট নম্বর দিতে হবে।

উলু গেরোহে বা এর কাছাকাছি তিনটি ইকো-রিসর্টে (মাই গোপেং রিসর্ট, রুমা রেহাত অ্যাডেলিন এবং গোপেং রেইনফরেস্ট রিসর্ট) বেসিক আবাসন পাওয়া যায়।

পার্ক এবং বিনোদন

সম্পাদনা
গুনুং ল্যাং থেকে হ্রদ জুড়ে নৌকা

ইপোহ শুধুমাত্র ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সুস্বাদু খাবারের জন্যই নয়, এখানে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর জন্যও অনেক সুযোগ রয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য ইপোহে অনেক মজার জায়গা আছে। আসুন জেনে নিই কোথায় কোথায় যাওয়া যায়।

লস্ট ওয়ার্ল্ড অফ টাম্বুন

ইপোহের একমাত্র ওয়াটার থিম পার্ক হল লস্ট ওয়ার্ল্ড অফ টাম্বুন। পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা। এখানে অনেক রাইড এবং অন্যান্য মজার জিনিস আছে। যারা ইকো-ট্যুরিজমে আগ্রহী তাদের জন্য কাছাকাছি চুনাপাথরের গুহাগুলোতে ট্যুরের ব্যবস্থা করা হয়। এখানে একটি পেটিং জু রয়েছে যেখানে শিশুরা বিভিন্ন প্রাণীকে খাওয়াতে এবং স্পর্শ করতে পারে। টাম্বুন তার রসালো পোমেলো ফল এবং টাম্বুন হট স্প্রিংস (এখন লস্ট ওয়ার্ল্ড হট স্প্রিংস অ্যান্ড স্পা নামে পরিচিত) এর জন্য বিখ্যাত। এই হট স্প্রিংসে গোসল করলে শরীরের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যায় কারণ জলে সালফারের পরিমাণ অনেক বেশি।

গুনুং ল্যাং

এটি একটি সাধারণ বিনোদন পার্ক যেখানে একটি কৃত্রিম জলপ্রপাত এবং একটি দীর্ঘ ওয়াটারফ্রন্ট বোর্ডওয়াক রয়েছে। এই শান্ত ৮০ ফুট গভীর হ্রদ, অঞ্চলের অন্যান্য অনেক হ্রদের মতো, টিন খনির কারণে গভীর দাগ রেখেছে। শিশুদের জন্য একটি মিনি জু এবং খেলার মাঠ এবং রাতে থাকার জন্য ক্যাম্প সাইট রয়েছে। হ্রদের ওপারে পার্কে যেতে একটি নৌকা ভ্রমণের প্রয়োজন।

গল্ফ

পেরাক রয়্যাল গল্ফ ক্লাব শহরের কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থিত গল্ফ কোর্সগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরনো। তবে বাতু গাজার ক্লিয়ারওয়াটার স্যাঙ্চুয়ারি এবং জেলাপাঙ্গের মেরু ভ্যালিতেও দুর্দান্ত গল্ফ কোর্স রয়েছে। ক্লিয়ারওয়াটার স্যাঙ্চুয়ারি এবং মেরু ভ্যালিও থাকার ব্যবস্থা করে।

ইপোহে কী কিনবেন?

সম্পাদনা

মালয়েশিয়ার অন্যান্য শহরের তুলনায় ইপোহে জিনিসপত্র কেনা অনেক সাশস্তি। বেশিরভাগ পর্যটক কুয়ালালামপুর বা ব্যাংককের পণ্যগুলি বেশি পছন্দ করেন তবে ইপোহে কিছু আকর্ষণীয় বিশেষজ্ঞতা রয়েছে, যা খাদ্যের চারপাশে ঘোরে।

স্থানীয় বিশেষজ্ঞতা

সম্পাদনা
  • ইপোহের সুগন্ধি বিস্কুট: ইপোহের সুগন্ধি বিস্কুট (হিওং পাং) খুব জনপ্রিয়। এই বিস্কুটগুলোতে একটি আঠালো মিষ্টি মাল্ট পেস্ট থাকে। হাতে তৈরি বিস্কুট খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও ফ্যাক্টরিতে তৈরি বিস্কুটগুলো বেশি দিন টেকস এবং স্মারক হিসাবে সহজে বহন করা যায়।
  • টাম্বুন পোমেলো: মালয়েশিয়ার সেরা পোমেলো (ইউ) ফল টাম্বুন থেকে আসে বলে মনে করা হয়, যা শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এই ফলের ছাল খুব পুরু এবং স্বাদ মিষ্টি।
  • পাট্রি: ইপোহে এক্সপোর্টের জন্য পাট্রি তৈরি করা হয়। যদি আপনি পাট্রি কিনতে চান তাহলে জালান কুয়ালা কাংসারে যেতে পারেন।
  • হোয়াইট কফি: তালের তেলের মার্জারিন দিয়ে বিশেষভাবে ভাজা কফি বীন, যা হোয়াইট কফি নামে পরিচিত, ইপোহ থেকে উদ্ভূত। প্যাকেট করা হোয়াইট কফি বিশেষ কিছু নয় এবং এটি দেশের সর্বত্র বিক্রি হয়।
একটি মিষ্টি এবং ফ্লেকি হেং প্যাং বা ইপোহ সুগন্ধি বিস্কুট

ইপোহের বিখ্যাত সুগন্ধি বিস্কুট: হিওং পাং

সম্পাদনা

ইপোহ যখন খাবারের কথা আসে, তখন সবচেয়ে প্রথম যে খাবারটির কথা মনে পড়ে তা হল হিওং পাং বা সুগন্ধি বিস্কুট। এই বিস্কুটগুলো স্বাদে মিষ্টি এবং খুবই নরম।

হিওং পাং তৈরি

ইপোহে হিওং পাং তৈরির একটা ঐতিহ্য রয়েছে। এখানকার অনেক ছোট ছোট কারখানা এখনও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে এই বিস্কুট তৈরি করে। তাদের কারখানায় গিয়ে আপনি দেখতে পাবেন কীভাবে বিশেষ ধরনের মাটির পাত্রে নারকেলের খোসা জ্বালিয়ে তৈরি আগুনে এই বিস্কুটগুলো সেঁকা হয়।

কোথায় পাওয়া যাবে?

  • সেং কি ফুড ট্রেডিং: এই দোকানটি লরং গুনুং রাপাত ৩ এ অবস্থিত। তারা তাদের বাড়ির পেছনের দিকে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে হিওং পাং তৈরি করে। আপনি যদি দেখতে চান যে এই বিস্কুটগুলো কীভাবে তৈরি হয়, তাহলে এই দোকানটিতে যেতে পারেন। তারা এই বিস্কুটগুলোকে একটি গোলাপী রঙের পাতলা প্যাকেটে করে বেঁধে রাখে। এই বিস্কুটগুলো সাধারণত এক সপ্তাহ পর্যন্ত নরম থাকে।
  • ইই হুপ: এই পরিবার পরিচালিত ব্যবসাটি ১৯৮০-এর দশকে বাড়িতে শুরু হয়েছিল এবং পরে একটি বড় কোম্পানিতে পরিণত হয়েছিল। তারা শিল্প সাইজের ইলেকট্রিক ওভেনে ট্রাক লোড করে বিস্কুট তৈরি করে। শহরে তাদের একটি শাখা রয়েছে যেখানে আপনি সাধারণত অন্য কোথাও পাওয়া যায় না এমন বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট পাবেন।

কেনার আগে জানা জরুরি

  • এই বিস্কুটগুলো খুবই সুস্বাদু হলেও এগুলো তুলনামূলকভাবে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
  • যদি আপনি দীর্ঘদিনের জন্য রাখতে চান, তাহলে ফ্রিজে রাখতে পারেন।
  • বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন দামে এই বিস্কুট পাওয়া যায়। তাই কেনার আগে দামাদামি করে নিন।

এগ টার্ট

সম্পাদনা

ইপোহ শুধুমাত্র ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই বিখ্যাত নয়, এখানকার খাবারও অনেক সুস্বাদু। বিশেষ করে, ইপোহের এগ টার্ট এবং পোমেলো দেশজুড়ে খ্যাতিমান। আসুন জেনে নিই এই খাবার দুটি সম্পর্কে।

হং কি কনফেকশনারির এগ টার্ট

ইপোহের হং কি কনফেকশনারি তাদের ক্যান্টোনীজ শৈলীর এগ টার্টের জন্য খুবই বিখ্যাত। এই দোকানটি জালান দাতো অন জাফারে অবস্থিত। তাদের এগ টার্ট খুবই সুস্বাদু এবং নরম। এই দোকানটি সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শুক্রবার বন্ধ থাকে। তাই এগ টার্ট কিনতে হলে সকালবেলা যাওয়া ভালো। এই দোকানের এগ টার্টের দাম প্রতিটি ১.৬ রিংগিত।

পোমেলো

সম্পাদনা

চিন পোমেলো ফার্ম

ইপোহের টাম্বুন এলাকায় চিন পোমেলো ফার্ম নামে একটি বাগান রয়েছে। এই বাগানে দুই ধরনের পোমেলো জন্মায় - মিষ্টি (হালকা ক্রিম রঙের মাংস) এবং টক (গোলাপী মাংস)। পোমেলোগুলোর পরিপক্কতা তাদের তাজা খাওয়া হবে নাকি প্রার্থনার জন্য ব্যবহৃত হবে তার উপর নির্ভর করে। এই ফার্মে স্টারফ্রুট এবং গায়াবাও জন্মায়। শহরের কাছে, সাম পোহ টংয়ের সামনে অনেক পোমেলোর দোকান খোলা থাকে। একটি পোমেলোর দাম প্রায় ১৫ রিংগিত।

ইপোহের ঐতিহ্যবাহী বাজার

সম্পাদনা
পুরনো স্ট্রেইটস ট্রেডিং বিল্ডিং, যেখানে টিন পেনাং ও সিঙ্গাপুরে বিক্রি হতো, এখন একটি OCBC ব্যাংকের আবাসস্থল।

ইপোহ শুধুমাত্র ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সুস্বাদু খাবারের জন্যই নয়, এখানকার বাজারগুলোও অনেক আকর্ষণীয়। বিশেষ করে, রাস্তার পাশে বসানো দোকানগুলোতে আপনি অনেক কিছুই পাবেন। আসুন জেনে নিই ইপোহের বাজারগুলো সম্পর্কে।

মেমোরি লেন (পাসার কারাত)

জালান লিম বো সেনে প্রতি রবিবার সকালে একটি ফ্লি মার্কেট বসে, যাকে মেমোরি লেন বা পাসার কারাত বলা হয়। এখানে আপনি নকল পণ্য, প্রাচীন জিনিসপত্র এবং অন্যান্য আকর্ষণীয় স্থানীয় স্মারক কিনতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, এখানে বিক্রি হওয়া কিছু জিনিস হয়তো চুরি করা হয়েছে। তাই কেনার আগে ভালো করে দেখে নিন এবং দামাদামি করুন।

পাসার মালাম - রাতের বাজার

ইপোহে রাতের বাজারকে পাসার মালাম বলা হয়। এই বাজারগুলো সপ্তাহের বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন জায়গায় বসে। এখানে আপনি খাবার, কাপড়, খেলনা এবং ঘরের সামগ্রী কিনতে পারবেন।

  • সোমবার: তামান মেংলেম্বু, তামান ইপোহ জয়া (গুনুং রাপাতের কাছে)
  • মঙ্গলবার: ইপোহ গার্ডেন ইস্ট
  • বুধবার: ইপোহ গার্ডেন (পেরাক স্টেডিয়ামের কাছে), বেরচাম (তামান পাকাতান)
  • বৃহস্পতিবার: তামান এসপিপিকে
  • শুক্রবার: তামান পার্তমা; পেকান রাজাকি (তামান ইপোহ জয়ার কাছে)
  • শনিবার: তামান রাসি
  • রবিবার: তামান চেমপাকা (শুধুমাত্র সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত)

গেরবাং মালাম

জালান দাতো তাহওয়িল আজহারে গেরবাং মালাম নামে একটি জনপ্রিয় রাতের বাজার রয়েছে। এখানে মূলত জুতা এবং কাপড় বিক্রি হয়। এছাড়াও, আপনি এখানে ব্যাগ, চশমা এবং ঘড়ির অনেক ভালো নকল পাবেন।

শপিং মল

সম্পাদনা

ইপোহের দুটি প্রাচীন শপিং মল হল কিন্তা সিটি শপিং সেন্টার এবং ইপোহ প্যারেড। এই দুটি মলেই আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকান পাবেন। বিশেষ করে, সেলের সময় এখানে অনেক ভালো ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়। এছাড়াও, ইপোহে এখন এওন স্টেশন ১৮ এবং এওন ইপোহ ক্লেবাং নামে দুটি বড় শপিং মল খুলেছে। এই দুটি মলেই পেরাকের প্রথম ইউনিক্লো এবং এইচ অ্যান্ড এম দোকান রয়েছে।

যদি আপনি ছোট ছোট বুটিকে ঘুরতে চান, তাহলে ইপোহ গার্ডেন সাউথে যেতে পারেন।

যখন টিন খনন বন্ধ হয়ে যায়, তখন খাবার ইপোহকে টিকিয়ে রাখে এবং শহরকে আবার সক্রিয় করে তোলে। মালয়েশিয়ার অন্যান্য জায়গার মতো, এখানকার স্থানীয় খাবার খুবই সস্তা এবং সুস্বাদু। সারা দেশ থেকে অনেক লোক শুধু পেট ভরাতে ইপোহে আসে, ফলে সপ্তাহান্তে শহরে অনেক ভিড় হয়। অনেক স্থানীয় লোক ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বিখ্যাত দোকানগুলোতে যাওয়া এড়িয়ে চলে, কারণ মান যায় বা ভিড় অনেক বেশি। আপনার চেষ্টা করে দেখার মতো কিছু বিশেষ খাবার হল: চিকেন এবং বিন্সপ্রাউটস (ম্যা চাই চি), ইপোহ কাই সি হো ফান এবং লবণে বেকড চিকেন। ক্যান্টোনীজ বংশোদ্ভূত বাসিন্দাদের কারণে, ইপোহে ডিম সামও খুব ভালো।

বাজেটেড খাবার

সম্পাদনা

ইপোহের মানুষ খুব ভোরে উঠে নাশতা করতে পছন্দ করেন। তাই শহরে নানা রকম সুস্বাদু নাশতা ও দুপুরের খাবার পাওয়া যায়। এগ টার্ট, হোয়াইট কফি এবং সয়াবিন দুধ ইপোহের জনপ্রিয় নাশতার মধ্যে অন্যতম। আসুন জেনে নিই ইপোহে কোথায় ভালো নাশতা পাওয়া যায়।

সিন মেং কি প্রোডাক্টস

জালান দাতো অন জাফার ৩৪ এ অবস্থিত সিন মেং কি প্রোডাক্টস ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনা শাকসবজি খাবারের জন্য বিখ্যাত। এখানে আপনি নানা রকম ভাতের সাথে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ পাবেন। বিশেষ করে, তাদের মক মিট এবং মাশরুম খুবই সুস্বাদু। এটি একটি স্ব-সেবা রেস্টুরেন্ট। আপনি আপনার প্লেটে খাবার নিয়ে নিলে, একজন কর্মচারী আপনার কাছ থেকে টাকা নেবে। এখানে বিভিন্ন ধরনের পানীয় এবং টেকওয়েও পাওয়া যায়।

চয় কি বেকারি

কাম্পুং সিমিতে অবস্থিত চয় কি বেকারি চীনা নাশতার জন্য খুবই জনপ্রিয়। এখানে আপনি প্রাউন ফ্রিটার, পোর্ক বানস এবং ফ্লেকি কাস্টার্ড এগ টার্ট পাবেন। তারা সকাল ৫টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বাজারে একটি স্টলে এবং তারপর লেবুহ ৩ তে তাদের বেকারিতে কাজ করে।

চালের নুডলস

সম্পাদনা

ইপোহের চালের নুডলস (সার হোর ফান বা কুয়েটিয়াও) খুবই হালকা এবং মসৃণ। বলা হয়, চুনাপাথরের পাহাড় থেকে বেরিয়ে আসা খনিজ সমৃদ্ধ পানিতে তৈরি করা হওয়ায় এই নুডলসের স্বাদ অন্যরকম। এই নুডলসে চিকেন এবং চিংড়ি স্যুপের সাথে চিকেনের টুকরা, চিংড়ি এবং স্প্রিং অনিয়ন দেওয়া হয়। কাই সি হোর ফান নাশতা, দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারের জন্য খাওয়া যায়। চু চেং ফানও একইভাবে স্প্রিং এবং সুস্বাদু। ইয়ং টাউ ফু এবং হর হিও অন্যান্য জনপ্রিয় নুডলস ডিশ।

সার হর ফান, বা চ্যাপ্টা চালের নুডলস, যা বিভিন্ন পদ তৈরির জন্য একটি বহুমুখী ভিত্তি।

ডাই শু গেওক

জালান কিং ৬৫২ এ অবস্থিত ডাই শু গেওক নামের একটি দোকান রয়েছে। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের নুডলস এবং ইয়ং টাউ ফু পাবেন। ইয়ং টাউ ফু হল মাছের পেস্ট দিয়ে ভর্তি করা সবজি। এই দোকানের স্যুপ বেসও বিভিন্ন ধরনের হয়, স্বাভাবিক স্বচ্ছ চিকেন স্যুপ থেকে শুরু করে লেমাক নারকেল ভিত্তিক কারি স্যুপ পর্যন্ত। এই দোকানটি কয়েকটি বড় গাছের ছায়ায় স্থাপিত হয়েছে, তাই এর নাম ডাই শু গেওক (বড় গাছের পা)।

রেস্টোরান লি হেং ফ্যাট

জালান পাংলিমা ১৪ এ অবস্থিত রেস্টোরান লি হেং ফ্যাটে আপনি সুস্বাদু ফিশবল, ফিশ কেক এবং ফিশ পেস্ট ডাম্পলিং পাবেন। এই সবকিছুই একটি হালকা স্যুপে পরিবেশন করা হয়, যাকে হর হিও বলা হয়। আপনি চাইলে সয়া সস এবং ছোট ছোট চিলি পাদিও দিতে পারেন।

রেস্টোরান নাম চাউ

জালান বান্দার তিমাহ ৫৪ এ অবস্থিত রেস্টোরান নাম চাউ সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং শনিবার বন্ধ থাকে। এখানকার ড্রাই কারি নুডলসের উপরে রোস্ট পোর্ক, চিকেন, চিংড়ি এবং প্রচুর পরিমাণে কারি গ্রেভি দেওয়া হয়। এর সাথে একটু লেবু নিংড়িয়ে খেলে, মশলা, টক, মিষ্টি এবং সুস্বাদু সব কিছু মিশে গিয়ে খাবারটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে যায়। এছাড়াও, তাদের হোয়াইট কফি অন্যতম সেরা এবং এটি আধা-উপযুক্ত ডিম এবং কায়া টোস্টের সাথে নেওয়া যেতে পারে।

রেস্টোরান কং হেং

জালান বান্দার তিমাহ ৭৫ এ অবস্থিত রেস্টোরান কং হেং সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪:৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে এবং বুধবার বন্ধ থাকে। এটি একটি ক্লাসিক চাইনিজ কফি শপ যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবার পাবেন। তারা তাদের ইপোহ কাই সি হোর ফানের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাদের পোপিয়া (স্প্রিং রোল) অর্ডার দেওয়ার সাথে সাথেই তাজা তৈরি করা হয়। এই রেস্টুরেন্টটি ঠিয়ান চুন নামে আরেকটি বিখ্যাত রেস্টুরেন্টের পাশে অবস্থিত। আপনি কং হেং-এ বসে ঠিয়ান চুনের হকারদের কাছ থেকেও খাবার অর্ডার করতে পারেন।

রেস্টোরান ঠিয়ান চুন

জালান বান্দার তিমাহ ৭৩ এ অবস্থিত রেস্টোরান ঠিয়ান চুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪:৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে এবং বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে। এটি "হল অফ মিররস" নামেও পরিচিত, কারণ কফি শপের দেয়ালগুলোতে বড় বড় আয়না রয়েছে। এটি তার পোর্ক স্যাটে এবং ইপোহ কাই সি হোর ফানের জন্য বিখ্যাত। তাদের ক্যারামেল এগ কাস্টার্ড একটি চিরস্থায়ী প্রিয় খাবার এবং সপ্তাহান্তে দুপুরের মধ্যেই এটি শেষ হয়ে যেতে পারে। স্যাটে মানুষ আপনার টেবিলে অনেকগুলি স্টিক রাখতে পারে, তবে আপনাকে শুধুমাত্র আপনি যেগুলো খেয়েছেন সেগুলোর জন্যই টাকা দিতে হবে (তিনি খালি স্টিক গণনা করবেন), এবং বাকিগুলো গ্রিলের দিকে ফেরত পাঠানো হবে। কং হেংয়ের পাশে অবস্থিত, কেউই কং হেং বা ঠিয়ান চুনের যে কোন হকারের কাছ থেকে খাবার অর্ডার করতে পারেন, হর ফান ছাড়া।

ইপোহের ফুড কোর্ট ও স্টল

সম্পাদনা

ইপোহ শহরের মূল অংশ ছাড়াও অনেক লুকিয়ে থাকা সুস্বাদু খাবারের জায়গা রয়েছে। যদি আপনি ঠিক করতে না পারেন কী খাবেন বা সাধারণ মালয়েশিয়ান খাবারের বাইরে কিছু চান, তাহলে ফুড কোর্টগুলো আপনার জন্য উপযুক্ত জায়গা হতে পারে। ফুড কোর্টগুলো সাধারণ কফি শপের চেয়ে একটু বেশি সুসংগঠিত।

টং সুই কাই

জালান সুলতান একরামে (স্যাম টেট হাই স্কুলের পাশে) অবস্থিত টং সুই কাই প্রায় ৫০টি সস্তা হকার স্টল নিয়ে গঠিত। এখানে মূলত মিষ্টি খাবার বিক্রি হয়, তবে বিভিন্ন ধরনের মালয়েশিয়ান খাবারও পাওয়া যায়। রোজাক, আইস কাচাং এবং স্থানীয় বিশেষ মিশ্র ফলের একটি বড় নির্বাচন সহ মিষ্টি খাবারের জন্য এটি সেরা জায়গা। স্টল নম্বর ২১ এবং ৪১ স্থানীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় মিষ্টি খাবারের জায়গা।

কাফে বেস্ট হিলভিউ

কাফে বেস্ট হিলভিউ রাতের খাবারের জন্য জনপ্রিয় একটি জায়গা। এখানে এক ডজনেরও বেশি স্টল রয়েছে যেখানে স্থানীয় খাবার পরিবেশন করা হয়। এখানে বসার জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে এবং এটি একটু বাতাসী জায়গা। স্ট্রিট ফুডের জন্য দাম একটু বেশি।

মেদান আনেকা সেলেরা/গুরমেট স্কয়ার (টং কু থিং)

লেঙ্গকোক ক্যানিংয়ে (উলি ফুড কোর্টের পাশে) অবস্থিত মেদান আনেকা সেলেরা/গুরমেট স্কয়ারে খাবারের বিভিন্নতা রয়েছে। এই বিশাল ফুড কোর্টে প্রায় সব ধরনের স্থানীয় খাবার পাওয়া যায়, পাশাপাশি জাপানি, থাই এবং ওয়েস্টার্ন খাবারের স্থানীয় সংস্করণও পাওয়া যায়। এখানকার আকর্ষণীয় একটি স্টলে বিদেশী চীনা সিফুড বিক্রি হয়।

ফ্যামিলি ফুড কোর্ট (উলি ফুড সিটি)

লেঙ্গকোক ক্যানিং, ইপোহ গার্ডেনে (মেদান আনেকা সেলেরার পাশে) অবস্থিত ফ্যামিলি ফুড কোর্টে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় খাবার পাশাপাশি জাপানি, ভিয়েতনামী, ওয়েস্টার্ন এবং থাই খাবারের কিছু স্থানীয় সংস্করণ পাওয়া যায়। এবিস ডেজার্টের আইস কাচাং, বিশেষ করে গুলা মেলাকা সংস্করণ, লাল মটর, চেন্ডল (পান্ডান স্বাদের চালের স্ট্র্যান্ড), ঘন দুধ, সিরাপ এবং ক্ষুদ্রতম বরফের একটি পাপী মিশ্রণ - গরম দিনে নিখুঁত।

ইপোহে দক্ষিণ এশিয়ার স্বাদ

সম্পাদনা

ইপোহ শুধুমাত্র ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সুস্বাদু খাবারের জন্যই বিখ্যাত নয়, এখানকার দক্ষিণ এশিয়ান খাবারও অনেক আকর্ষণীয়। বিশেষ করে, নাসি কান্দর এবং বাঁশের পাতার ভাত এখানে খুব জনপ্রিয়। আসুন জেনে নিই ইপোহে কোথায় এই দুই ধরনের খাবার পাওয়া যায়।

নাসি কান্দর ইয়ং সুয়ান

জালান ইয়াং কালসম ২ এ অবস্থিত নাসি কান্দর ইয়ং সুয়ান তাদের খাবারের আসক্তিকর গুণের জন্য "নাসি গঞ্জা" নামে পরিচিত। এই রেস্টুরেন্টে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবার পাবেন, যেমন আয়াম মেরাহ (লাল চিকেন কারি) এবং মশলাদার ডিমের ওমলেট। তারপর মালিক আপনার চালের প্লেটে বিশেষ মিশ্র কারি সস ঢেলে দেবেন। তাদের একটি পৃথক দোকান রয়েছে যার নাম নাসি ভাঙ্গে এবং এটি পারসিরান গ্রিনটাউন ১১ এ অবস্থিত।

রেস্টোরান স্যামি

জালান বেসার ৭০ এ অবস্থিত রেস্টোরান স্যামিতে আপনি দক্ষিণ ভারতীয় শৈলীর বাঁশের পাতার ভাত পাবেন। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের কারি পাবেন। সাধারণ চিকেন, মাছ, চিংড়ি, স্কুইড এবং মটন কারির পাশাপাশি তারা কাঁকড়া, শার্ক এবং মৌসুমি হিসাবে টার্কি কারিও পরিবেশন করে।

মাঝারি দামের খাবার

সম্পাদনা

ইপোহে মাঝারি দামে অনেক সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। বিশেষ করে, আয়াম টাউজে, লবণে বেকড চিকেন এবং ডিম সাম ইপোহের খ্যাতিমান খাবারের মধ্যে অন্যতম। আসুন জেনে নিই ইপোহে কোথায় এই খাবারগুলো চেখে দেখা যায়।

মুগ ডালের অঙ্কুর বা স্থানীয় মালয় ভাষায় তাউগে

আয়াম টাউজে

আয়াম টাউজে হল হাইনানিজ পোচড চিকেনের একটি স্থানীয় সংস্করণ। এটি সাধারণ চাল বা সার হোর ফানের সাথে খাওয়া যায়। সার হোর ফান হল একটি ধরনের নুডলস যার সাথে হালকাভাবে ব্লাঞ্চ করা বিন্সপ্রাউটস দেওয়া হয়। এই বিন্সপ্রাউটস সয়া সস এবং তিল তেল দিয়ে মারিনেড করা হয়।

লবণে বেকড চিকেন

লবণে বেকড চিকেন হাক্কা খাবারের একটি বিশেষতা। এই খাবার তৈরির জন্য ফ্রি-রেঞ্জ কাম্পোং চিকেন ব্যবহার করা হয়। চিকেনগুলোকে কাগজে মুড়ে তারপর বড় ওক দিয়ে তৈরি পাত্রে গরম লবণের সাথে বেক করা হয়।

আউন কেং লিম

জালান থিয়েটার ২৪ এ অবস্থিত আউন কেং লিম লাল-সাদা রঙের স্ট্রাইপযুক্ত একটি দোকান। এখানে আপনি স্থানীয় বিশেষতা লবণে বেকড চিকেন পাবেন। এই চিকেনের মাংস খুবই কোমল এবং দুইজনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে হবে। এখানে ড্রাইভ-থ্রু সুবিধাও রয়েছে।

কোওয়ান স্ট্রিট আয়াম টাউজে অ্যান্ড কোইটিয়াও

জালান রাজা একরাম ৪৪ এ অবস্থিত কোওয়ান স্ট্রিট আয়াম টাউজে অ্যান্ড কোইটিয়াও লু ওং এবং অন কি এর চেয়ে কম বিখ্যাত, তবে স্থানীয়দের মধ্যে অনেক বেশি জনপ্রিয়। তাদের খোলার সময় আসলে তালিকাভুক্ত সময়ের চেয়ে বেশি পরিবর্তনশীল, তবে এটি ক্ষুধার্ত পৃষ্ঠপোষকদের আসা এবং তাদের তৃষ্ণা মেটানোর আশা বন্ধ করে না।

রেস্টোরান টাউজে আয়াম লু ওং

জালান ইয়াউ টেট শিন ৪৯ এ অবস্থিত রেস্টোরান টাউজে আয়াম লু ওং ইপোহের সবচেয়ে বিখ্যাত nga choy kai (স্থানীয় বিশেষতা চিকেন এবং বিন্সপ্রাউটস) প্রদানকারী বলে দাবি করে। এখানে প্রায় সবসময় ভিড় থাকে। আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে এবং রাস্তার ওপরই অবস্থিত, যদিও পিছনে পিছনে খাবার বের করে আনছে এমন বড় রান্নাঘর দেখার মজা আছে।

ওং কি রেস্টুরেন্ট

জালান ইয়াউ টেট শিন ৫১ এ অবস্থিত ওং কি রেস্টুরেন্ট লু ওং রেস্টুরেন্টের পাশে অবস্থিত। অন কি এবং লু ওং দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী রেস্টুরেন্ট এবং স্থানীয়রা যতদিন মনে রাখতে পারে তাদের স্টল একে অপরের বিপরীতে ছিল। অন কি রেস্টুরেন্টের মান অন্য রেস্টুরেন্টের তুলনায় একটু বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মাইকেলএঞ্জেলো’স পিজেরিয়া

জালান মেদান ইপোহ ১বি ৪০ এ অবস্থিত মাইকেলএঞ্জেলো’স পিজেরিয়া একটি আমেরিকানের দ্বারা খোলা একটি রেস্টুরেন্ট যেখানে আপনি একটি জমজমাট রক-অ্যান্ড-রোল পরিবেশে আসল আমেরিকান স্টাইলের পিজা পাবেন। তাদের কাঠের আগুনে পোড়ানো পিজা ক্রিস্পি হয় এবং উপকরণ খুব উদার।

ডিম সাম

ক্যান্টোনিজ রান্নার সবচেয়ে সুপরিচিত আনন্দগুলির মধ্যে একটি, ইপোহে ব্রেকফাস্টের জন্য ডিম সাম শুধু সুস্বাদু এবং যুক্তিসঙ্গত দামের নয়, এটি প্রজন্মের পর প্রজন্মের পরিবারের জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী সপ্তাহান্তের ঐতিহ্য। জালান লিওং সিন নামকে "ডিম সাম স্ট্রিট" বলা হয় কারণ জনপ্রিয় ডিম সাম আউটলেটগুলির ঘনত্বের কারণে।

ইপোহের বিখ্যাত ডিম সাম রেস্টুরেন্টগুলো

সম্পাদনা
ডিম সামের জন্য বাঁশের স্টিমার

ইপোহে ডিম সাম খেতে যাওয়া একটি জনপ্রিয় রীতি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনেক ডিম সাম রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই রেস্টুরেন্টগুলোতে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ডিম সাম পাবেন। আসুন জেনে নিই ইপোহের কিছু জনপ্রিয় ডিম সাম রেস্টুরেন্টের কথা।

ফোহ সান রেস্টুরেন্ট

জালান লিওং সিন নাম ৫১ এ অবস্থিত ফোহ সান রেস্টুরেন্ট শহরের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ডিম সাম রেস্টুরেন্ট। পর্যটকরা বাসে করে এখানে ভিড় জমান। দুটি তলা থাকা সত্ত্বেও, সপ্তাহান্তে এই জায়গাটি ভরে যায় এবং খালি আসন থাকলে অপরিচিত লোকদের পাশে বসতে হয়। খুব ভোরে এখানে এলে ছোট্ট গল্প করার জন্য এটি একটি ভালো জায়গা।

মিং কোর্ট হংকং ডিম সাম

জালান লিওং সিন নাম ৩২ এ অবস্থিত মিং কোর্ট হংকং ডিম সাম। অনেকে দাবি করেন যে এখানকার ডিম সাম আরও বিখ্যাত ফোহ সানের চেয়ে উচ্চমানের, যদিও তাদের পরিবেশন করা অংশগুলিও ছোট। তাদের টং সুই (মিষ্টি ডেজার্ট পানীয়)ও একইভাবে জনপ্রিয়।

রেস্টোরান যোক ফুক মুন

জালান লিওং সিন নাম ৬৭-৬৯ এ অবস্থিত রেস্টোরান যোক ফুক মুন "ডিম সাম স্ট্রিট" এর কম পরিচিত ডিম সাম রেস্টুরেন্ট। এখানে সাধারণত ভিড় এড়ানো যায়। এখানকার চার সিউ বাও তাজা বাষ্পীয়া এবং ফুলে উঠে। অংশগুলি কিছুটা বড় এবং ফোহ সান এবং মিং কোর্টের বিপরীতে, এই জায়গাটি রাতের খাবারের জন্যও খোলা থাকে।

ইপোহের বিলাসবহুল খাবার

সম্পাদনা

ইপোহ শুধুমাত্র স্বাদিষ্ট স্ট্রিট ফুডের জন্যই বিখ্যাত নয়, এখানে বিলাসবহুল খাবারের জন্যও অনেক জায়গা রয়েছে। বিশেষ করে, সামুদ্রিক খাবার এবং পশ্চিমা খাবারের জন্য ইপোহে অনেক ভালো রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আসুন জেনে নিই ইপোহের কিছু বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টের কথা।

সামুদ্রিক খাবারের রেস্টুরেন্ট

ইপোহে সামুদ্রিক খাবারের অনেক ভালো রেস্টুরেন্ট রয়েছে। বিশেষ করে, তানজুং তুয়ালাং এলাকায় বড় মাথার উদাং গালাহ (মিঠা পানির চিংড়ি) খুব বিখ্যাত। এই ছোট্ট শহরে কমপক্ষে দশটি সামুদ্রিক খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে, যার জন্য একে লবস্টার টাউন বলা হয়।

মুন চুং রেস্টুরেন্ট

জালান পাশির পুতেহ ৫১১-৫১৭ এ অবস্থিত মুন চুং রেস্টুরেন্ট ইপোহে বিশেষ পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য একটি জনপ্রিয় পছন্দ। তাদের স্টিমড মিঠা পানির চিংড়ি আদা দিয়ে সবার প্রিয়। সেবা মনোযোগী এবং দক্ষ।

সান সুই কিং

তানজুং তুয়ালাং এর জালান হোমান ১৫-১৭ এ অবস্থিত সান সুই কিং। এই রেস্টুরেন্টে বড় একুয়ারিয়াম রয়েছে যেখানে রান্না করার জন্য চিংড়ি রাখা হয়। কন চিন হার, সয়া সসে ডুবিয়ে খাওয়া প্যান-ফ্রাইড চিংড়ি, এমন একটি খাবার যা আপনি সবার টেবিলে দেখতে পাবেন। চিংড়ি সাধারণত একটি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়। এটি হয়তো ব্যয়বহুল, তবে এটি খাদ্য শিকারীদেরকে এখানে খাবার খেতে আসতে বাধা দেয় না।

পশ্চিমা খাবারের রেস্টুরেন্ট

ইপোহে কেএল বা বিদেশ থেকে ফিরে আসা ইপোহের বাসিন্দারা অনেক পশ্চিমা ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট খুলেছেন। কং হেং স্কয়ার এবং বান্দার বারু মেদানের আশেপাশে অনেকগুলি ক্লাস্টার রয়েছে। ইন্ডালজেন্স রেস্টুরেন্টই প্রথম এবং মানের দিক থেকে সেরা।

সিট্রাস ওয়াইন অ্যান্ড ডাইন

লালুয়ান ইপোহ পারদানা ৩৮-৪৬ এ অবস্থিত সিট্রাস ওয়াইন অ্যান্ড ডাইনে এশিয়ান স্বাদের সাথে আধুনিক ইউরোপীয় ফাইন ডাইনিং খাবার পরিবেশন করা হয়। সেবা চমৎকার এবং ওয়াইন এবং ককটেলের একটি নির্বাচন রয়েছে। সপ্তাহের দিনগুলিতে সস্তা ৩-কোর্স সেট লঞ্চ অফার করে।

ইন্ডালজেন্স রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড লিভিং

জালান রাজা দিহিলর ১৪ এ অবস্থিত ইন্ডালজেন্স রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড লিভিং সারা দিন ইউরোপীয় অনুপ্রাণিত খাবার পরিবেশন করে। জাতীয় খ্যাতিমান শেফ জুলি সঙের দ্বারা খোলা, একসময় একটি ছোট্ট ক্যাফে এখন একটি আরামদায়ক পশ্চিমা ডাইনিং অভিজ্ঞতা যা কয়েকজনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। তারা অনন্য খাবার তৈরি করার জন্য উচ্চমানের উপাদান উৎপাদন করে এবং একত্রিত করে যা অন্য কোন মেনুতে পাওয়া যায় না।

কনফেকশনারি

সম্পাদনা
  • ফানি মাউন্টেন সয়াবিন এবং টাউ ফু ফাহ: জালান থিয়েটার ৪৯ এ অবস্থিত এই ছোট দোকানটি মসৃণ সয়ামিল্ক এবং টাউ ফু ফাহ পরিবেশন করে। আপনাকে গাড়ি থেকে নামতেও হবে না, তারা আপনার গাড়ির পাশেই পরিবেশন করবে। সাধারণত দুপুর ২টার দিকে এগুলি শেষ হয়ে যায়। প্রতিটি পণ্যের দাম প্রায় ১.২০ রিংগিত।

পানীয়

সম্পাদনা

ইপোহের রাতের জীবন ধীরে ধীরে বিকশিত হচ্ছে। গত এক দশক ধরে কিন্তা সিটি শপিং সেন্টারের পিছনে বান্দার বারু মেদান রাতের খাবারের জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে। যদিও এখানে পাব এবং বারের একটি বড় টার্নওভার রয়েছে। নতুন নাইটলাইফ এলাকা হল নিউ টাউন এবং গ্রিনটাউন এবং পুরানো শহরের পুনরুজ্জীবিত লরং পাংলিমা। লরং পাংলিমা একসময় কনকিউবিন লেন নামে পরিচিত ছিল, যেখানে ধনী ব্যবসায়ীরা টিন খনিগুলি যখন উন্নতি করছিল তখন তাদের উপপত্নীদের রাখত। এই সংকীর্ণ গলিটি এখন নতুন করে জীবন ফিরে পেয়েছে।

  • বান্দার বারু মেদান: বান্দার বারু মেদান ইপোহের রাতের জীবনের একটি প্রধান কেন্দ্র। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট, বার এবং ক্যাফে পাবেন। এখানে থাই, মালয় এবং চীনা খাবারের পাশাপাশি পশ্চিমা খাবারও পাওয়া যায়। বান্দার বারু মেদানে অনেকবার নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট এবং বার খুলে বন্ধ হয়েছে। যদিও এটি একটি পরিবর্তনশীল দৃশ্য, তবুও এটি রাতের খাবার এবং পান করার জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা।
  • লরং পাংলিমা: লরং পাংলিমা একসময় ইপোহের একটি গোপন রাস্তা ছিল। এখানে ধনী ব্যবসায়ীরা তাদের উপপত্নীদের লুকিয়ে রাখত। কিন্তু আজকাল এই রাস্তাটি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে এবং এটি ইপোহের নতুন নাইটলাইফ এলাকার একটি অংশ। এখানে আপনি অনেক বুটিক হোটেল, ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট পাবেন। লরং পাংলিমা ইপোহের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের সঙ্গে আধুনিক জীবনযাত্রার একটি মিশ্রণ।
  • নিউ টাউন এবং গ্রিনটাউন: নিউ টাউন এবং গ্রিনটাউন ইপোহের দুটি নতুন উন্নয়ন এলাকা। এখানে অনেক নতুন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স এবং শপিং মল রয়েছে। এই এলাকায় অনেক নতুন রেস্টুরেন্ট এবং বার খুলেছে। নিউ টাউন এবং গ্রিনটাউন ইপোহের যুবকদের জন্য একটি জনপ্রিয় জায়গা।

ইপোহের বিখ্যাত সাদা কফি

সম্পাদনা

ইপোহ হল সাদা কফির জন্মভূমি। ইউরোপীয় শৈলীতে রোস্ট করা কফির তিক্ততা কমাতে এবং কপি-ও রোস্টিংয়ের সময় চিনির মতো করে চিনি যোগ না করে, এখানে বীজগুলো পাম তেল মার্জারিনের সাথে রোস্ট করা হয়। ফলাফল হল একটি মৃদু স্বাদের বাচ্চাদের সংস্করণ যা পশ্চিমা লোকেরা আসল কফি বলে মনে করে।

ইপোহের সাদা কফির খ্যাতি এতটাই বেশি যে, ওল্ড টাউন কফি চেইন এই কফিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। আসুন জেনে নিই ইপোহে সাদা কফি খাওয়ার জন্য কোন কোন জনপ্রিয় জায়গা রয়েছে।

ইপোহ হোয়াইট কফি, যা ওল্ডটাউন কফি চেইনের মাধ্যমে বিখ্যাত হয়েছে।
  • নাম হিওং কফি শপ : জালান বান্দার তিমাহ ২ এ অবস্থিত নাম হিওং কফি শপ বিখ্যাত "ইপোহ হোয়াইট কফি" এর জন্মস্থান এবং বড় ওল্ড টাউন কফি চেইনের সাথে এর যোগসূত্র রয়েছে। এখানকার এগ তার্ট ওভেন থেকে তাজা বের হয়, সব মিষ্টি এবং ফ্লেকি। এখানে ফ্রাইড রাইস নুডলস এবং অন্যান্য স্থানীয় খাবারও পরিবেশন করা হয়। খাবারের দাম ৩ রিংগিত থেকে শুরু।
  • সিন ইউন লুং কফি শপ : জালান বান্দার তিমাহ ১ এ অবস্থিত সিন ইউন লুং কফি শপ নাম হিওং কফি শপের বিপরীতে অবস্থিত এবং তারা "হোয়াইট কফি" ব্যবসায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী। স্থানীয়দের মধ্যে এটি একটি জনপ্রিয় ব্রেকফাস্টের জায়গা এবং এখানে ভালো কায়া কেকও পরিবেশন করা হয়, যা নারকেল জ্যামযুক্ত স্পঞ্জ কেক। খাবারের দাম ৩ রিংগিত থেকে শুরু।
  • ওল্ড টাউন হোয়াইট কফি: জালান টুন সামবাথান ৩ এ (প্যাডাং-এ, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন অফিসের বিপরীতে) অবস্থিত ওল্ড টাউন হোয়াইট কফি। এটি একটি কফি শপের চেইন যা আরামদায়ক পরিবেশে ইপোহের নিজস্ব হোয়াইট কফি বিক্রি করে। প্রথম আউটলেট আসলে ইপোহ গার্ডেন সাউথে শুরু হয়েছিল। যুক্তিসঙ্গত দামে কিন্তু অনুপ্রেরণাদায়ক না হওয়া স্ন্যাকস। ইপোহে একটি বিরলতা কিন্তু সকল শাখায় স্ট্যান্ডার্ড হল ফ্রি ওয়াই-ফাই। কফির দাম ৩.৫০ রিংগিত।

ইপোহের বার ও পাব

সম্পাদনা

ইপোহ শুধুমাত্র খাবার আর ঐতিহ্যের জন্যই নয়, রাতের জীবনের জন্যও পরিচিত। শহরে বেশ কয়েকটি বার ও পাব রয়েছে যেখানে আপনি বন্ধুদের সাথে মজা করতে এবং নতুন মানুষদের সাথে পরিচিত হতে পারেন।

ক্লাব:

  • সেনসেশন অফ সাউন্ড: জালান যাং কালসমে অবস্থিত সেনসেশন অফ সাউন্ড এবং জালান সুলতান ইদ্রিস শাহে অবস্থিত হাউস মিউজিক ক্লাব, এই দুটি ক্লাব রাতের জীবনের জন্য জনপ্রিয়। যদিও সপ্তাহের দিনগুলিতে এখানে খুব একটা ভিড় থাকে না।

বার ও পাব:

  • ব্রিকস অ্যান্ড ব্যারেলস: জালান ল্যাও এক চিং ২৮-৩০ এ অবস্থিত এই জায়গাটি একটি গ্যাস্ট্রোবার। দিনের বেলায় পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার জন্য এটি একটি ভালো জায়গা। রাতে এখানে বন্ধুদের সাথে মজা করতে আসা যায়। এখানে পিজ্জা, রোস্ট পোর্ক, রিবস এবং জার্মান ব্র্যাটওয়ার্স্ট সহ অন্যান্য খাবার পাওয়া যায়। বারে ড্রাফ্ট বিয়ার, শট এবং ককটেল পাওয়া যায়।
  • মাইনার্স আর্মস বিস্ট্রো: জালান দাতো মহারাজালেলা ৮-১০ এ অবস্থিত এই মক টুডর পাবটিতে কাঠের বীম এবং সঠিকভাবে স্থাপিত অ্যাপোস্ট্রফ রয়েছে। এখানে গ্রাহকরা সম্পূর্ণরূপে চীনা বংশোদ্ভূত, তবে কারাওকে অনেক জোরে চলে না।

ইপোহে রাত্রিযাপন

সম্পাদনা

ইপোহ শহরটি ধীরে ধীরে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং এর সাথে সাথে এখানকার হোটেল ব্যবসায়ও ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। একসময় যেসব হোটেল ছিল, সেগুলো এখনও আছে, তবে নতুন নতুন হোটেলও যুক্ত হয়েছে। ফলে এখন ইপোহে থাকার জন্য অনেক বেশি বিকল্প রয়েছে। আপনার বাজেট, পছন্দ এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী আপনি হোটেল বেছে নিতে পারেন। যদি আপনি আরামদায়ক থাকতে চান এবং অনেকগুলি সুবিধা পেতে চান, তাহলে আপনি বড় হোটেল বুক করতে পারেন। যদি আপনি ঐতিহাসিক পরিবেশে থাকতে চান, তাহলে আপনি বুটিক হোটেল বুক করতে পারেন। আর যদি আপনি কম খরচে থাকতে চান, তাহলে আপনি বাজেট হোটেল বুক করতে পারেন।

ইপোহের নিম্ন বাজেট হোটেল

সম্পাদনা
ইপোহ-এর দোকানবাড়িগুলো।

ইপোহে বাজেট হোটেলের সংখ্যাও কম নয়। এই হোটেলগুলো সাধারণত সাশ্রয়ী এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়। জালান আলি পিটচাই এর আশেপাশে অনেক বাজেট হোটেল রয়েছে।

  • অ্যাবি বাই দ্য রিভার: জালান সুলতান ইস্কান্দার ৫৫-৫৭ এ অবস্থিত এই হোটেলটি কিন্তা নদীর পাশে অবস্থিত এবং এর উজ্জ্বল রঙের সামনের দিক থেকে দেখা যায়। এটি কিছুটা খালি, তবে কক্ষগুলি বেশ নতুন এবং পরিষেবাযোগ্য। ফ্রি ওয়াই-ফাই। ডর্মের দাম ৩০ রিংগিত থেকে শুরু, কক্ষের দাম ৯০ রিংগিত থেকে শুরু।
  • ডি ইস্টার্ন হোটেল: জালান সুলতান ইদ্রিস শাহ ১১৮ এ অবস্থিত এই হোটেলটির পুনর্নির্মিত কক্ষগুলি মৌলিক হলেও প্রশস্ত। শব্দ প্রমাণীকরণটি খুব ভালো না হওয়ায় প্রধান সড়ক থেকে ট্র্যাফিক বেশ শোরগোল করতে পারে। পার্কিং স্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কক্ষের দাম ১০০ রিংগিত থেকে শুরু।
  • গ্র্যান্ড পার্ক হোটেল: জালান বেন্দারা ১৯ এ অবস্থিত এই হোটেলটি একটি কেন্দ্রীয়ভাবে অবস্থিত, নস্টালজিক চীনা পরিবারের বাড়ি। মূল চীনা সজ্জাটি সংযুক্ত উপরের প্যাটিও, ফয়ার এবং ভবনের সামনের দিকে বড় উপরের ডাবল কক্ষগুলিতে প্রতিফলিত হয়। ১৯৫০-এর দশকে একটি হোটেলে রূপান্তরিত, এটিতে ৬০ এবং ৭০-এর দশকে একটি রেস্টুরেন্টও ছিল। কক্ষের দাম ৫০ রিংগিত থেকে শুরু।
  • হোটেল ইপোহ সিটি: জালান দাস ১৮ এ অবস্থিত এই হোটেলটির আসবাবপত্র পুরানো তবে কক্ষ এবং বাথরুম পরিষ্কার। হোটেলের চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নাস্তা করা যায়। কক্ষের দাম ৯০ রিংগিত থেকে শুরু।
  • ওয়াইএমসিএ ইপোহ: জালান রাজা মুসা আজিজ ২১১ এ অবস্থিত এই হোটেলটিতে দুটি ডর্মিটরি রয়েছে, একটিতে দশটি শয্যা এবং অন্যটিতে পাঁচটি, পাশাপাশি ছোট ছোট প্রাইভেট রুম রয়েছে। এয়ার কন্ডিশনার নিশ্চিত নয়। শহর থেকে কিছুটা দূরে থাকায় কাছাকাছি খুব বেশি পছন্দ নেই এমন একটি ছোট ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে। ডর্মের দাম ২০ রিংগিত থেকে শুরু, কক্ষের দাম ৫০ রিংগিত থেকে শুরু।
  • চেকডইন: মেদান স্টেশন ১৯/৬, স্টেশন ১৮ এ অবস্থিত এই হোটেলটির পাশের এলাকাটি আকর্ষণীয় নয়। এখানে অনেক খাবারের দোকান এবং কিছু ভালো বার রয়েছে। লন্ড্রি: পুসাত ডোবি ২৪ ঘণ্টা। মেদান স্টেশন ১৮/২ ৩০০ মিটার দূরে। সিঙ্গল এ/সি ফ্রি ওয়াই-ফাই ৪৯ রিংগিত থেকে শুরু।

ইপোহে মধ্যম দামের হোটেল

সম্পাদনা
পুরনো হোটেলগুলো, যেমন হোটেল এক্সেলসিয়র, বাইরে থেকে বয়সের ছাপ দেখায়, যদিও তারা নতুন করে সংস্কার করা হতে পারে বা নাও হতে পারে।

ইপোহে মধ্যম দামের হোটেলগুলো সাধারণত আরামদায়ক এবং সুবিধাসমৃদ্ধ হয়। এই হোটেলগুলোতে আপনি বাজেট হোটেলের চেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন এবং বিলাসবহুল হোটেলের চেয়ে কম খরচ করতে হবে। আসুন জেনে নিই ইপোহের কিছু জনপ্রিয় মধ্যম দামের হোটেল সম্পর্কে।

  • হোটেল এক্সেলসিয়র: জালান সুলতান আব্দুল জলিল ৪৩ এ অবস্থিত এই হোটেলটি বাইরে থেকে দেখতে পুরনো হলেও ভিতরে নতুন করে সাজানো হতে পারে। কক্ষগুলি খুব শব্দ প্রমাণীকরণ নয়। সেরা দৃশ্যের জন্য উচ্চ তলায় থাকুন। ওভারসি রেস্টুরেন্ট বিপরীতে অবস্থিত। দাম ১৫০-৩০০ রিংগিত।
  • এম বুটিক হোটেল: হালা দাতুক ৫, ২ এ অবস্থিত এই বুটিক হোটেলটির আধুনিক ডিজাইন একটি মজাদার, আধুনিক পরিবেশ তৈরি করে। স্ট্যান্ডার্ড রুমগুলি ছোট, তবে স্মার্ট ব্যবস্থা এবং দুপুরের খাবার সহ ছোট ছোট এক্সট্রাগুলি এটির জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়। এখানে একটি সেলফ-সার্ভিস লন্ড্রি এলাকা, একটি ফিটনেস রুম এবং হোটেলের শৈলীর সাথে মিল রেখে আইটেম বিক্রি করে একটি ইনহাউস শপ রয়েছে। খাবারের জন্য, অতিথিরা আশপাশের ওল্ড টাউন হোয়াইটকফি গ্র্যান্ডে এশিয়ান বা কন্টিনেন্টাল হোটেল রেস্টুরেন্টে বেছে নিতে পারেন। ২০১৩ সালে খোলা। দাম ১৭০ রিংগিত এবং তার উপরে।
  • এমএইচ হোটেলস ইপোহ: পিটি ২১ ২৬৯৫বি জালান মেদান ইপোহ ১এ এ অবস্থিত এই হোটেলে কনসেপ্ট থিম ফ্লোর এবং প্রশস্ত ডিলাক্স রুম এবং স্যুট রয়েছে। এতে বিশেষ চেক-ইন এবং মহিলাদের জন্য একটি বিশেষ তলাও রয়েছে। অতিরিক্ত বিনোদনের জন্য একটি রুফটপ বার রয়েছে। দাম ১৮০-৩০০ রিংগিত।
  • রেগালোজ হোটেল ইপোহ: জালান রাজা একরাম ১৩১ এ অবস্থিত এই হোটেলটি (জেনারেল হাসপাতালের পিছনে এবং ইউওবি ব্যাঙ্কের পাশে) তাদের কক্ষগুলিতে বিনামূল্যে খনিজ পানি, সফ্ট ড্রিঙ্কস এবং তাত্ক্ষণিক কাপ নুডলস সরবরাহ করে। এখানে একটি ফুট রিফ্লেক্সোলজি সেন্টার এবং একটি বেশ ভাল ফাইন ডাইনিং রেস্টুরেন্ট রয়েছে যাকে দ্য লাইমস্টোনস বলা হয়। রাতে এই এলাকাটি কিছুটা অন্ধকার হয়ে পড়ে। দাম ১৫০-৩৫০ রিংগিত।
  • রিটজ গার্ডেন: জালান যাং কালসম ৮৬ এবং ৮৮ এ অবস্থিত (পিরামিড আকৃতির ছাদযুক্ত ভবন হিসাবে সহজেই চেনা যায়) এই হোটেলের ডিলাক্স এবং স্ট্যান্ডার্ড রুমগুলি পুরানো এবং সেরা অবস্থায় নেই। নতুন রুমগুলি চেষ্টা করুন যার দাম ২১০ রিংগিত নেট থেকে শুরু হয়। এতে একটি প্রাইভেট সিনেমা, জিম, সুইমিং পুল, কম্পিউটার এবং রিডিং রুম, বিলিয়ার্ড টেবিল রয়েছে যা সকল অতিথির জন্য বিনামূল্যে - কোন অতিরিক্ত চার্জ নেই। পাশেই একটি ভাল ফ্রাইড চিকেন বিক্রি করে একটি ভাল ভারতীয় রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর পাবলিক এলাকা এবং গেস্ট রুমগুলিতে ফ্রি ওয়াই-ফাই। ১৫০ রিংগিত থেকে শুরু।
  • সেকিপিং কং হেং: জালান পাংলিমা ৭৫ এ অবস্থিত এই হোটেলটি পুনর্নির্মিত ঐতিহ্যবাহী দোকানবাড়ির একটি সমষ্টি। এর নকশা ঐতিহাসিক এবং স্থাপত্যিক দিক থেকে আকর্ষণীয়, গ্রামীণ দিকে ঝুঁকে। তবে কক্ষগুলি খুব বেশি নিরবচ্ছিন্ন নয়।

ইপোহে বিলাসবহুল হোটেল

সম্পাদনা

ইপোহ শুধুমাত্র ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সুস্বাদু খাবারের জন্যই নয়, এখানে বিলাসবহুল অবকাশ কাটানোর জন্যও অনেক জায়গা রয়েছে। আসুন জেনে নিই ইপোহের কিছু বিলাসবহুল হোটেল সম্পর্কে।

  • দ্য বানজারান হট স্প্রিংস রিট্রিট: সানওয়ে ইপোহের ১, পারসিয়ারান লাগুন সানওয়ে ৩ এ অবস্থিত এই পাঁচ তারা ওয়েলনেস এবং স্পা রিসোর্টে ২৫টি বিলাসবহুল ভিলা রয়েছে এবং এটি ৫৬ একর জমির উপর অবস্থিত একটি উপত্যকায় অবস্থিত যা প্রাকৃতিক গুহা, জলপ্রপাত এবং ভূতাপীয় হট স্প্রিংস সহ উঁচু চুনাপাথরের পাহাড়ের একটি গুচ্ছ দ্বারা বেষ্টিত। দাম ১০০০-১৫০০ রিংগিত।
  • হ্যাপি ৮ রিট্রিট @ ওল্ড টাউন: ৪৬ মার্কেট স্ট্রিটে অবস্থিত এই টেরেস কর্নার হাউসটি একটি বুটিক হোটেলে রূপান্তরিত হয়েছে, যার আকার এবং আলোকসজ্জা এটিকে অনন্য করে তোলে। ব্রেকফাস্ট অন্তর্ভুক্ত। অনেক কাঠ এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সজ্জিত একটি ব্যয়বহুল শিথিল ক্যাফে রয়েছে। তাদের কয়েকটি অন্যান্য উপনগরীয় সম্পত্তি রয়েছে, কোনটিই এত সুবিধাজনক নয়। দাম ২২০-৪০০ রিংগিত।
  • ইন্ডালজেন্স লিভিং: ১৪ জালান রাজা দিহিলিরে অবস্থিত এই বুটিক হোটেলে ৩টি ডিজাইনার স্যুট এবং ৪টি থিমযুক্ত রুম রয়েছে। বাতাসদার কলোনিয়াল বাংলো একটি বিলাসবহুল তবে ঘরোয়া পরিবেশ দেয়। অতিথিরা একটি লাউঞ্জে বসে আরাম করতে এবং মিশতে পারেন; ৩ বছরের উপরের কোনও শিশুকে অনুমতি দেওয়া হয় না। ফাইন ডাইনিং ইন্ডালজেন্স রেস্টুরেন্টের উপরে অবস্থিত, ব্রেকফাস্ট বিনামূল্যে এবং অতিথিদের জন্য হালকা খাবারের একটি ট্রে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। দাম ৪২০ রিংগিত এবং তার উপরে।
  • লস্ট ওয়ার্ল্ড হোটেল: সানওয়ে ইপোহের ১, পারসিয়ারান লাগুন সানওয়ে ১ এ অবস্থিত এই হোটেলে এক রাত থাকার মধ্যে ব্রেকফাস্ট এবং তাম্বুন হট স্প্রিংস স্পায় প্রবেশ অন্তর্ভুক্ত। দাম ২৮০ রিংগিত এবং তার উপরে।
  • ওয়েইল হোটেল: ২৯২ জালান সুলতান ইদ্রিস শাহে অবস্থিত এই হোটেলটির রুমের নকশা আধুনিক, স্টাইলিশ এবং পরিষ্কার। রুফটপ সুইমিং পুল একটি বড় আকর্ষণ এবং একটি বারও রয়েছে, চেক-ইনে স্বাগত পানীয় সহ। হোটেলটি ইপোহ প্যারেড শপিং মলের সাথেও সংযুক্ত। লিফটগুলি কিছুটা ছোট এবং ধীর। সপ্তাহান্তে বেশ ব্যস্ত থাকে। দাম ২৫০ রিংগিত এবং তার উপরে।

ইপোহে নিরাপদে থাকুন

সম্পাদনা

ইপোহ সাধারণত একটি নিরাপদ শহর হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী। তবে, কিছু সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

বিশেষ করে বাস টার্মিনালে ভিখারিরা: ইপোহে ভিখারিরা দেখা যায়, বিশেষ করে বাস টার্মিনালগুলোতে। ভিখারিদের টাকা দেওয়া থেকে বিরত থাকা ভাল, কারণ তাদের বেশিরভাগই পেশাদার ভিখারি এবং সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত।

সেন্ট্রাল মার্কেটে সতর্ক থাকুন: নিউ টাউনের সেন্ট্রাল মার্কেটে যদি আপনি বিদেশি হন, তাহলে ব্যবসায়ীরা আপনাকে বোকা বানাতে চাইতে পারে। তাই দাম সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জেনে নিন এবং দাম ঠিক করার সময় দৃঢ় থাকুন। ক্যান্টোনীজ, ম্যান্ডারিন বা মালয় ভাষায় "এটা খুব দামি" বলতে শিখে রাখা ভাল।

চুরি থেকে সাবধান থাকুন: শহরের কেন্দ্রীয় অংশটি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হলেও, বাস স্টেশনগুলিতে পকেটমারদের সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনার ব্যাগটি ভালো করে বন্ধ করে রাখুন এবং বাস থেকে নামার সময় আপনার পকেটে থাকা ওয়ালেটটির দিকে নজর রাখুন। মূল সড়কের পাশে হাঁটার সময় আপনার হাতব্যাগটি কাঁধে ঝুলে রাখবেন না, কারণ মোটরসাইকেল চালিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে।

মানিয়ে নিন

সম্পাদনা

লন্ড্রি সার্ভিস:

  • প্রেসিডেন্ট প্রো ডিসি: জালান যাং কালসম ৪ (জালান আলি পিটচাইয়ের বাজেট হোটেলগুলির কাছে) ☏ +60 5 2557477। লন্ড্রি এবং ড্রাই ক্লিনিং। একই দিনে ওয়াশ অ্যান্ড ফোল্ড ৩ রিংগিত/কেজি, ন্যূনতম ৬ রিংগিত।

ইপোহ থেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কিছু জনপ্রিয় গন্তব্য

সম্পাদনা

ইপোহ থেকে আপনি অনেক সুন্দর জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন। আসুন জেনে নিই ইপোহের কাছের কিছু জনপ্রিয় গন্তব্য সম্পর্কে।

  • ক্যামেরন হাইল্যান্ডস: ক্যামেরন হাইল্যান্ডস মালয়েশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় পাহাড়ি গন্তব্য। এখানে আপনি সবজি, স্ট্রবেরি এবং চা বাগান দেখতে পারবেন। এছাড়াও এখানকার ঠান্ডা আবহাওয়া এবং সুন্দর দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। নর্থ সাউথ এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সিম্পাং পুলাই এক্সিটের কাছে ক্যামেরন হাইল্যান্ডসে টোল-ফ্রি রাস্তা রয়েছে। যাত্রাটি প্রায় এক ঘণ্টা সময় নেয়।
  • তাইপিং: তাইপিং নর্থ সাউথ এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা উত্তরে অবস্থিত। ইপোহ এবং তাইপিংয়ের মধ্যবর্তী হাইওয়ের অংশে পাহাড়ের শ্রেণী এবং বৃষ্টিপাতের বনগুলির কিছু সবচেয়ে দৃশ্যসমৃদ্ধ দৃশ্য ধরা যেতে পারে। তাইপিং শহরটি দেশের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে ঐতিহাসিক শহরগুলির মধ্যে একটি।
  • বুকিত মেরাহ: বুকিত মেরাহ একটি লেকের পাশে একটি পারিবারিক ইকো-ট্যুরিস্ট গন্তব্য। এটি উত্তর পেনিনসুলার মালয়েশিয়ার বৃহত্তম ওয়াটার থিম পার্ক এবং দেশের একমাত্র ওরাং উটান দ্বীপের আবাসস্থল।
  • পেনাং: পেনাং একটি ২ ঘণ্টার বাস যাত্রা বা ড্রাইভ দূরে। দ্বীপটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য সাইট, কিছু ভালো সমুদ্র সৈকত এবং দুর্দান্ত মালয়েশিয়ান খাবার সহ। বাসগুলি কুখ্যাতভাবে দেরি করে, তাই প্রায় ১০ রিংগিত বেশি ট্রেনটি বিবেচনা করুন।
  • কুয়ালালামপুর: কুয়ালালামপুর, দেশের রাজধানী, গাড়ি দিয়ে মাত্র দুই ঘণ্টার ড্রাইভ বা বাস বা ট্রেনে তিন ঘণ্টার যাত্রা।
  • পাংকর: পাংকর একটি ২ ঘণ্টার ড্রাইভ এবং ফেরি যাত্রা দূরে। এটি একটি শান্ত মাছ ধরার গ্রাম দ্বীপ, অনেক সুন্দর সমুদ্র সৈকত সহ। এই খুব বেশি পরিচিত নয় এমন দ্বীপটি মালয়েশিয়ার অন্যান্য আরও জনপ্রিয় দ্বীপের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে শান্ত, তবে এখনও ব্যাকপ্যাকার এবং বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য বিস্তৃত আবাসন নির্বাচন এবং টাকা সহকারে পাঁচ তারা হোটেল এবং বিশ্বমানের রিসর্ট সরবরাহ করে।
  • বেলুম তেমেংগর বন সংরক্ষণ: বেলুম তেমেংগর বন সংরক্ষণ মালয় উপদ্বীপের বৃহত্তম বৃষ্টিপাতের বন, কেলান্তানের দিকে নেতৃত্ব দেওয়া ফেডারেল রাস্তা ৪ ধরে ৩ ঘণ্টার ড্রাইভ।
  • হ্যাট ইয়াই: থাইল্যান্ডের দক্ষিণতম শহর হ্যাট ইয়াই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা দূরে, ট্রেন থেকে পাডাং বেসার এবং ৫০-বাহত বাস যাত্রার সমন্বয় সহ।
  • সিঙ্গাপুর: দ্বীপ শহর-রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর বিমানে এক ঘণ্টা দূরে, বাস বা ট্রেনে কিছুটা দীর্ঘ তবে সুবিধাজনক রাতারাতি সময় সহ।


ইপোহর মধ্য দিয়ে রুট
তাইপিং কুয়ালা কাংসার  উত্তর  দক্ষিণ  কুয়ালালামপুর


বিষয়শ্রেণী তৈরি করুন

এই শহর ভ্রমণ নির্দেশিকা ইপোহ guide অবস্থা তালিকাভুক্ত লেখা১ লেখা২

{{#assessment:শহর|guide}}