বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার উদ্যান

আরশি নগর ফিউচার পার্ক বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার একটি উন্মুক্ত উদ্যান।

আরশি নগর ফিউচার পার্কের প্রবেশপথ
পার্কের ভিতরে নাগরদোলা
পার্কের ভিতরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য

আরশি নগর ফিউচার পার্ক প্রায় ১৪ একর পাহাড়ী ও ঢালু জায়গা নিয়ে অবস্থিত। পার্কের ভেতরে ২৫টি পিকনিক স্পট ছাড়াও বিয়ে এবং সেমিনারের জন্য ৫টি বড় হলঘর রয়েছে। স্থায়ীভাবে গড়ে তোলা হয়েছে লালন ও বাউল সংগীত মঞ্চ। পার্কে ৩০০টি গাড়ি রাখার পার্কিং ব্যবস্থাও রয়েছে। পার্কের বর্তমান প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা।

বিনোদন ব্যবস্থা

সম্পাদনা
মেরিগোল্ড রাইড

আরশি নগর ফিউচার পার্কের বিনোদন কেন্দ্রে শিশুদের জন্য রয়েছে ট্রেন, মেরিগোল্ড (ঘোড়া), জাম্পিং, নাগরদোলা সাম্পান, মোটর সাইকেল কিং রাইডস এবং কার্টুনসহ বিভিন্ন রকম রাইড। এছাড়াও ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য রয়েছে প্যাডেল বোট, স্পিডবোট, ঘোড়া, জিরাফসহ আকর্ষণীয় সব রাইড। তরুণ-তরুনীদের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি গেম জোন, লাভ পয়েন্ট, ফিশিং জোন এবং কটেজ। অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে মুক্ত মঞ্চ, ফুড জোন এবং ওয়াচ টাওয়ার। আরও রয়েছে কৃত্রিম ঝর্ণা, মনোরম ফুলবাগান এবং আলোকসজ্জা।

এছাড়াও পার্কটিতে রয়েছে চড়ুই, বাবুই, টুনটুনি, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পাখিদের এই ঠিকানা গড়ে উঠেছে পার্কের ভেতরের অর্কিচ রেস্টুরেন্টের বিপরীতে সবুজ অভয়ারণ্য অংশে। বিশেষ করে লাটোরা জাতের এক ধরনের নতুন প্রজাতির প্রাকৃতিক পাখিদের দলবেঁধে চিৎকার করতে দেখা যায়।

কীভাবে যাবেন?

সম্পাদনা

বাসযোগে

সম্পাদনা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কগামী বাসযোগে আরশি নগর ফিউচার পার্কের প্রবেশদ্বারে নামতে হবে। চট্টগ্রাম শহরের এ. কে. খান থেকেও যেকোনো বাসযোগে সরাসরি পার্কে আসা যাবে।

ট্রেনযোগে

সম্পাদনা

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন বা চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সরাসরি চিনকি আস্তানা রেলওয়ে স্টেশন আসতে হবে। স্টেশন থেকে লেগুনায় করে (ভাড়া ১০ টাকা) পার্কে আসা যাবে। এছাড়া জেলা ট্রেনগুলোয় আসতে চাইলে ফেনী রেলওয়ে স্টেশন নামতে হবে এবং সেখান থেকে বাসযোগে আরশি নগর ফিউচার পার্ক আসা যাবে।

খাওয়া-দাওয়া

সম্পাদনা

পার্কের ভেতরে সম্মেলন কেন্দ্র ও উন্নত মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে। এছাড়া বারৈয়ারহাট পৌরসভা, মীরসরাই উপজেলা ও সীতাকুণ্ডে ভালো মানের হোটেল ও রেস্তোরাঁ রয়েছে।

রাত্রিযাপন

সম্পাদনা

আরশি নগর ফিউচার পার্কে রাত্রিযাপনের জন্য ৫টি কটেজ রয়েছে। যে কোনো দর্শনার্থী চাইলে পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে রাত্রিযাপন করতে পারবে। নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষিত নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে। তবে আরও ভালো মানের হোটেলে থাকতে চাইলে চট্টগ্রাম শহরেও চলে যেতে পারেন।