আমবাসা হল ভারতের অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরার ধলাই জেলার সদর শহর। যে শহরের বুক চিরে বয়ে চলেছে ধলাই নদী। যে নদীর নামেই এই জেলার নাম। ত্রিপুরা রাজ্যের তিন তিনটে জেলার নাম নদীর নাম দিয়ে! ধলাই, গোমতী আর খোয়াই। পর্যটকদের জন্যে নদী, পাহাড়, সবুজ বনানী ইত্যাদি প্রকৃতি মায়ের অভূতপুর্ব আঁচল পাতা আছে পুরো আমবাসা জুড়ে। শুধু ব্যাগ গুছিয়ে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া আমবাসার মোহময়ী সৌন্দর্য উপভোগের তাগিদে। এখন আর এসব অঞ্চল প্রান্তিক নেই। নদীর ফল্গুধারার মতোই প্রান্তর-পাহাড় ভেদ করে ছুটে চলেছে ভারতীয় রেল। ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে আমবাসার মূল যোগাযোগ বিশ বছর আগেও ছিল একমাত্র সেই আসাম-আগরতলা রোডের চড়াই-উতরাই দিয়ে যাতায়াত। বর্তমানে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পাহাড় কেটে সুড়ঙ্গ দিয়ে গড়ে ওঠা ভারতীয় রেলপথ। আমবাসা রেল স্টেশন তারই সাক্ষী বহন করছে। সকল ধর্মাবলম্বী ও ভাষাভাষীদেরই ভালো লাগবে আমবাসা বেড়াতে। কারণ, এখানে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, বুদ্ধমন্দির সবই আছে। তাহলে আর দেরি কেন? পরবর্তী গন্তব্য হোক আমবাসা!

আমবাসার প্রান্তর
আমবাসা রেলওয়ে স্টেশন

কীভাবে যাবেন? সম্পাদনা

  • ভারতের যে-কোনো জায়গা থেকে আমবাসা স্টেশনে রেলপথে যাওয়া যায়।
  • বাংলাদেশ থেকে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাসে আগরতলা। আগরতলা থেকে ট্রেনে আমবাসা।
  • কলকাতা থেকে বিমানে আগরতলা। আগরতলা থেকে ট্রেনে আমবাসা।

কোথায় থাকবেন? সম্পাদনা

  • শহরের প্রাণকেন্দ্রে আমবাসা সার্কিট হাউস
  • আমবাসা টাউন হলের কাছে ধলাই অতিথিশালা

কী খাবেন? সম্পাদনা

আমবাসা-গণ্ডাছড়া রোডে মইসরাং হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বাংলা, ভারতীয়, চিনা সব খানা-ই পাওয়া যায়।

কোথায় বেড়াবেন? সম্পাদনা

  • ইকো পার্ক
  • হোলি স্পিরিট চার্চ
  • মগপাড়া বুদ্ধমন্দির
  • ছিন্নমস্তা কালীমন্দির
  • দশমী ঘাট ময়দান
  • প্রেসবিটারিয়ান চার্চ
  • আমবাসা সৎসঙ্গ কেন্দ্র
  • রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম