খৈয়াছড়া ঝর্ণা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পাহাড়ে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। মীরসরাই উপজেলায় অবস্থিত অন্যান্য জলপ্রপাত যেমন কমলদহ ঝর্ণা, নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা, সহস্রধারা ঝর্ণা, ঝরঝরি ঝর্ণা প্রভৃতির তুলনায় খৈয়াছড়া ঝর্ণা ও এর ঝিরিপথ অন্যতম বৃহৎ।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/25/%E0%A6%96%E0%A7%88%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE_%E0%A6%9D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A7%A8%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A1_-_Khaiyachora_Waterfalls_2nd_Cascade.jpg/220px-%E0%A6%96%E0%A7%88%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BE_%E0%A6%9D%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A7%A8%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A1_-_Khaiyachora_Waterfalls_2nd_Cascade.jpg)
সৃষ্টির ইতিহাস
সম্পাদনাধারণা করা হয় প্রায় ৫০ বছর আগে থেকেই প্রবাহিত হচ্ছে খৈয়াছড়া ঝর্ণাটি। জনমানহীন পাহাড়ি এলাকা এবং ঝোপ ঝাড়ের আধিক্যের জন্য এটির অবস্থান আবিষ্কারে সময় লেগেছে। আবার অনেকে ধারণা করেন প্রায় ৫০ বছর আগে পাহাড়ি ঢলের ফলে এই ঝর্ণাটি তৈরি হয়েছে, এর পূর্বে এখানে ঝর্ণাটি ছিল না। ২০১০ সালে সরকার বারৈয়াঢালা ব্লক থেকে কুণ্ডের হাট (বড়তাকিয়া) ব্লকের ২৯৩৩.৬১ হেক্টরর পাহাড়কে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করায় খৈয়াছড়া ঝর্ণা জাতীয় উদ্যানের আওতাভুক্ত হয়।
যেভাবে যাবেন
সম্পাদনারাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে খৈয়াছড়ায় আসা যায়। ঢাকার যেকোনো বাস কাউণ্টার থেকে চট্টগ্রামগামী বাস সার্ভিসে উঠে চট্টগ্রামের মিরসরাই থানা পার হয়ে বড়তাকিয়া বাজারে নামতে হবে। ঢাকা থেকে এখানে আসতে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এসি ও নন এসি দুই ধরনের বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে।
- নন এসিতে ভাড়া ৪৫০-৫০০ টাকা
- এসি বাসে ভাড়া ১১০০-১৩০০ টাকা
ঐখান থেকে খৈয়াছড়া ঝর্ণার দিকে যাওয়ার জন্য মূল ট্র্যাকিং শুরু করতে হবে।
থাকার স্থান
সম্পাদনাবড়তাকিয়া বাজারে থাকার কোন হোটেল নেই। কিন্তু চাইলে চেয়ারম্যানের বাংলোয় উঠতে পারেন। এছাড়াও স্থানীয় লোকদের সাথে ব্যবস্থা করে তাদের বাড়িতে থাকতে পারবেন। মিরেরসরাই বা সীতাকুণ্ডে আপনি থাকার জন্য বেশ কিছু স্থানীয় হোটেল পাবেন। মিরেরসরাই বা সীতাকুণ্ডে খাওয়ার জন্য অনেক রেস্তোরাঁ পাবেন।
সতর্কতা
সম্পাদনাঅব্যবহৃত খাবার, চিপসের প্যাকেট, সিগারেটের ফিল্টার, পানির বোতলসহ অন্যান্য আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলা। ঝর্ণার দিকে যাওয়ার সময় জোঁক থাকতে পারে। জোঁক ছাড়ানোর জন্য সাথে লবণ বা গুল রাখবেন। জোঁক কামড়ালে হাত দিয়ে টেনে ছাড়াতে যাবেন না, লবণ/গুল শরীরের উক্ত অংশে ছিটিয়ে দিন। ঝর্ণায় যাওয়ার রাস্তা বেশ দুর্গম এবং পাথরের যায়গা পিচ্ছিল থাকতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে পথ চলতে হবে। মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ওই দুর্গম রাস্তা পাড়ি দিয়ে ফিরে আসা অনেক কঠিন হবে। একেবারে ওপরের ধাপগুলো খাড়া পাহাড় বেয়ে উঠতে হয়, তাই সেই ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হয়ে চলতে হবে।